কোটা দিয়ে আমরা কী করব


প্রকাশিত: ০২:০৮ এএম, ২৬ জুন ২০১৬

বাংলাদেশে সব সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা সবকিছুতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও নিয়োগ পেতে বেগ পেতে হয়।

কারণ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসংশ্লিষ্ট সব মূল সনদ প্রদর্শনের পরও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সনদের সত্যতা বিষয়ক প্রত্যয়নপত্র ব্যতীত নিয়োগপত্র প্রদান করা হচ্ছে না।

এতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ার পরেও কোটায় চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা যোগদান করতে পারছেন না। আমি যুব উন্নয়ন অধিদফতরের একটি প্রকল্পে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের সঙ্গে যারা কোটা ছাড়া নির্বাচিত হয়েছেন, তারা ১ জুন থেকে চাকরিতে যোগদান করেছেন। অথচ একই সঙ্গে আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে সনদের সত্যতা সংশ্লিষ্ট প্রত্যয়নপত্র ছাড়া যোগদান করতে পারিনি।

যুব উন্নয়ন অধিদফতরে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, প্রত্যয়নপত্র ছাড়া আমাদের নিয়োগপত্র দেয়া হবে না।

এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে জানতে পারি, মন্ত্রণালয় থেকে এসব প্রত্যয়নপত্র পাঠাতে কমপক্ষে ৬ মাস লাগে। কখনো কখনো এর চেয়ে বেশি সময়ও লাগে।

এই প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর। ৬ মাস পরও যদি প্রত্যয়নপত্র প্রেরণ করা হয়, তবু আমি ৬ মাসের বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এই কোটা দিয়ে আমরা কী করব? এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

লেখক: চট্টগ্রাম।

এসইউ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।