সত্যায়ন : একটি নিত্য সমস্যার নাম


প্রকাশিত: ০২:০১ এএম, ২১ জুন ২০১৬

‘সত্যায়ন’ সাধারণ শিক্ষার্থীর জীবনপ্রবাহে ঘটে যাওয়া একটি নিত্য সমস্যার নাম। আমাদের উন্নয়নশীল দেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় না আর যারা পায় তারা অনেকেই হয়তোবা প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদবি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না।

প্রথম শ্রেণির চাকরিজীবীরা সবসময় ব্যস্ত থাকেন, নানা অজুহাত দেখিয়ে সত্যায়িত করতে চান না বরং বিরক্তবোধ করেন। তারপর আর একটি সমস্যা হচ্ছে, যদিও করে দেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন।

শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে তাদের কি ভাবা উচিত নয় যে, আমাদের সময়েরও মূল্য আছে? যাই হোক, এই সত্যায়নটা কেন লাগবে? আমাদের সনদগুলোর প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করতে- তাই তো? এই সত্যতা যাচাই করতে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে যে পদক্ষেপ রয়েছে সেটাই যথেষ্ট।

যদি কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়, তবে তার সনদগুলোর ফটোকপির রোল, রেজি. বা আইডি নং দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন বোর্ড বা প্রতিষ্ঠানের সাইট থেকে সহজেই যাচাই করা সম্ভব।

সবশেষে নিয়োগের পর ভাইবা বোর্ড সব কাগজপত্র যাচাই করেই নিয়োগ দেয়। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পৃথিবী হাতের মুঠোর মধ্যে, ভুয়া কিছু দিয়ে জীবন পার করা সম্ভব নয়। যদি কর্তৃপক্ষ এই চিরাচরিত পদ্ধতি পরিবর্তন করে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করে, তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা ও মূল্যবান সময় নষ্ট- দু’টি থেকেই রেহায় পায়।

লেখক: ইংরেজি শিক্ষক, বামৈ মডেল হাই স্কুল, লাখাই, হবিগঞ্জ।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।