উন্নত দেশ গড়তে দক্ষ মানবসম্পদ জরুরি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

আহসান হাবিব

বর্তমানে প্রযুক্তির সান্নিধ্যে থেকে বাস্তবধর্মী ও হাতেকলমে শিক্ষাই হলো কারিগরি শিক্ষা। যে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে তথ্যপ্রযুক্তি, শিল্প, কৃষি ও কল-কারখানার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মতভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অর্থাৎ আমাদের শ্রমবাজারকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিকে রূপান্তর ও দেশের শিল্পায়নের পথে কারিগরি শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমান ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ উন্নত দেশ গড়তে হলে চাই দক্ষ মানবসম্পদ। সেটা হোক বিএ পাস, এমএ পাস কিংবা অষ্টম শ্রেণি পাস। উচ্চশিক্ষিত সার্টিফিকেটধারীদের চাকরি দেওয়ার সুযোগ আমাদের দেশে খুব কম। বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত না হওয়ায় বিদেশেও চাকরির সুযোগ নেই বললেই চলে। বর্তমান বিশ্বে চাকরির বাজারে উৎপাদনশীল খাতই সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে থাকে। তাই আমাদের প্রয়োজন দক্ষ কারিগর। দক্ষ মানবসম্পদ।

আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় উন্নত দেশগুলো কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে উৎপাদনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ব্যবহার ও কৌশল প্রয়োগ করে শিল্প ও কৃষিতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষা একটি উৎপাদনভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা, যা দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কারিগরি শিক্ষা শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে, এতে শ্রমিকরা সহজেই দেশীয় ও আন্তর্জতিক শ্রম বাজারে প্রবেশ করে দক্ষ জনশক্তি ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ বৃদ্ধি করে। কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়, প্রয়োজনীয় মূলধন অর্জন করে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চীন তার বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রূপান্তর করে শিল্পায়নে ইউরোপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। দক্ষ মানবসম্পদের অভাবে বাংলাদেশ তেমন একটা জায়গা করে নিতে পারেনি। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আত্মকর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো যদি দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে তাহলে বাংলাদেশ কেন পারবে না?

মানবসম্পদ উন্নয়ন একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের জনগোষ্ঠী একটি বিশাল সম্পদে পরিণত হতে পারে। মানবসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে একটি মানবগোষ্ঠীর সুপ্ত প্রতিভা, প্রচ্ছন্ন শক্তি, লুকায়িত সামর্থ, যোগ্যতার প্রসার ঘটে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়। মানুষের অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত করাই হলো অর্থনীতির অন্যতম মূল বৈশিষ্ট্য। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা আবশ্যক। উন্নত দেশের এটিই মূল চালিকাশক্তি। ব্যক্তিগত জীবনেও উন্নতির জন্য স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন একান্ত প্রয়োজন। তবে দক্ষতা রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয়। মানবসম্পদ একটি অন্যতম অর্থনৈতিক প্রত্যয়। একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো মানবসম্পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষতা, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, পরিশ্রম, দূরদর্শিতা এবং কাজের প্রতি একাগ্রতা। আর এই উন্নয়নকে যদি টেকসই করতে হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে এগিয়ে নিতে হয় তাহলে দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। অর্থ সম্পদ ও ভৌত সম্পদের প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও যদি মানবসম্পদের অভাব থাকে তবে সেক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রক্রিয়া মন্থর হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে সরকারকে আরও অধিক কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। কেননা কেবল দেশেই নয়, বিদেশের শ্রমবাজারেও রয়েছে দক্ষ জনশক্তির বিরাট চাহিদা। সেই চাহিদা পূরণে দক্ষতা তৈরির সরকারি উদ্যোগ এখনো পর্যাপ্ত নয়। জনশক্তি রপ্তানিতে বেসরকারি খাত মূল ভূমিকা পালন করলেও বিদেশের শ্রমবাজার উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে তাদের ভূমিকাও গৌণ।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলতে বোঝায়, কোনো একটি দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন শ্রমশক্তিতে পরিণত হয়। অর্থাৎ পরনির্ভরশীল জনসংখ্যার চেয়ে কর্মক্ষম জনসংখ্যার হার বেশি হতে হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগ কাজে লাগাতে হলে জরুরিভিত্তিতে কিছু বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সবার আগে প্রয়োজন কর্মসংস্থান সৃষ্টি। আর এ জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন আবশ্যক। অর্থনীতিবিদরা তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন- বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষা শিক্ষার্থীদের একটি উৎপাদনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত করে সমাজ ও দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। কারিগরি শিক্ষা প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করে। এই শিক্ষার ফলে শিক্ষার্থী হয় কোনো চাকরির সুযোগ পায়, নয়তো স্বনির্ভর কাজে যুক্ত হতে পারে। পুথিগত নিরস একঘেয়েমি থেকে নিজেকে দূর করে ব্যবহারিক ও হাতে-কলমে শিক্ষায় তাদের উৎসাহ বৃদ্ধি একপ্রকার ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে। বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা শিক্ষার্থীদের কর্মের দক্ষতা বৃদ্ধি করে যে চাকরি বা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে। কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয় ও পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমেই কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিহিত। প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের জোগান দেওয়াই হলো কর্মমুখী ও কারিগরি শিক্ষার মূল লক্ষ্য। সর্বোপরি কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার মাধ্যমেই আমাদের দেশের শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব। কারিগরি শিক্ষায় বিনিয়োগে রেট অব রিটার্ন সর্বদাই অধিক।

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পল জে মায়ার মানবসম্পদকে একটি দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ বলে অভিহিত করেছেন। আধুনিক অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অন্য সম্পদের মতো মানুষও সম্পদ। তবে মানবশক্তি তখনই মানবসম্পদে পরিণত হবে; যখন তা সুপরিকল্পিত উপায়ে পরিচালিত হবে। মানবসম্পদকে উন্নয়নের ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বর্তমানে এ সম্পদকে একটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সীমিত আয়তনের জাপান, হংকং, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলো তাদের দক্ষ মানবসম্পদ। তাই উন্নয়নের স্বার্থে মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। উন্নয়ন মূলত মানুষকেন্দ্রিক। এজন্য পল্লি উন্নয়ন, প্রাকৃতিক সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন, শিল্প উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে মানুষকেই। এসব উন্নয়ন ঘটাবেও মানুষ। অতএব একটি দেশের বস্তুগত সম্পদ এবং সম্ভাবনা যতই থাকুক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ এ সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারবে; ততক্ষণ পর্যন্ত এ থেকে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। আর মানুষ তা করতে পারবে তখনই; যখন তারা মানবসম্পদে পরিণত হবে। তাই দেশের স্বার্থে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, মানবসম্পদ উন্নয়ন হলো ব্যক্তিকে কর্মে নিযুক্ত করার সম্ভাবনা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া। অর্থাৎ মানবসম্পদ উন্নয়ন হলো এমন এক প্রক্রিয়া বা প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে কোনো সমাজের সব মানুষের জ্ঞান, দক্ষতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি উদার করতে সহায়তা করে। শিক্ষা মানুষের চেতনা ও বিবেকের পরিবর্তন ঘটায়। ফলে শিক্ষিত ব্যক্তি সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে ভাবতে শেখে, সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে শেখে। শিক্ষা লাভের ফলে ব্যক্তি নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে জানতে পারে, নাগরিক দায়িত্ববোধ উপলব্ধি করতে পারে। নিজের ও রাষ্ট্রীয় কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একজন সাক্ষর শ্রমিক নিরক্ষর শ্রমিকের চেয়ে বেশি দক্ষ। আবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারী কর্মীরা যারা তা সম্পন্ন করেননি তারচেয়ে বেশি দক্ষতাসম্পন্ন। কেননা শিক্ষিত ব্যক্তি নিরক্ষর বা কম শিক্ষিত ব্যক্তির চেয়ে বেশি সচেতন। তার চিন্তা, বিচার বিশ্লেষণ, আত্মমূল্যায়ন ও সংশোধন ক্ষমতা অনেক বেশি। তাছাড়াও নিজ পেশা সম্পর্কে একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন, পড়াশোনার মাধ্যমে তা তার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

সর্বজনীন শিক্ষা সুষম সমাজ গঠনে সহায়তা করে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা মানুষের দক্ষতাকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং সুনির্বাচিত উচ্চশিক্ষা দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক। কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশ এর উদাহরণ। এসব দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মানুষকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনায় আনলে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে মানবসম্পদ প্রসঙ্গটি প্রধান হিসেবে দেখা দেয়। আর দেশের জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে হলে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। নিজের বিবেক-বুদ্ধির বিকাশ ঘটিয়ে সে সমাজ ও পরিবারের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে পারলে তা দেশ ও জাতির উন্নয়নে বড় অবদান রাখতে পারবে। উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই তা সম্ভব। বর্তমান বিশ্বে কোনো দেশই কেবল প্রাকৃতিক সম্পদের দ্বারা সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে না। মানবসম্পদের গুরুত্বও অপরিসীম। মানবসম্পদ উন্নয়ন হলো দেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক এবং যুগোপযোগী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা দেশের বিপুল জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করতে পারেনি। তাই মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। সমাজের অবহেলিত মানুষও শিক্ষা লাভের মাধ্যমে নিজের জীবনমান এবং আয় বাড়াতে সমর্থ হয়। এটি সমাজের বৈষম্য দূর করে। মানবসম্পদ উন্নয়ন হলো জনসম্পদের এমন এক গুণগত পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে তারা উৎপাদন ও দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হতে পারে।

বর্তমানে সরকার দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কি ভূমিকা রাখছেন, তা সরকারই জানেন। তবে আমাদের প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত তৃণমূল শিক্ষাকে কারিগরি শিক্ষায় শক্তিশালী করা। দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে হলে এবং বহির্বিশ্বে শ্রম বাজারের জায়গা দখল করতে হলে একটি স্থিতিশীল ও উন্নয়নমুখী শিক্ষায় বর্তমান প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দক্ষ মানসম্পদ গড়লে দেশ শুধু শিক্ষিত প্রজন্ম পাবে না, সঙ্গে আরও পাবে সুশিক্ষিত একটি জাতি। যার মাধ্যমে সুন্দর ও সমৃদ্ধ হবে আমাদের দেশ।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।