দক্ষিণ এশিয়ার সেরা প্রশিক্ষক

পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের ইউসুফ ইফতি

বেনজির আবরার
বেনজির আবরার বেনজির আবরার , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের জন্য বড় একটি সুখবর বয়ে আনলেন দেশের প্রশিক্ষণ খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত প্রশিক্ষক ইউসুফ ইফতি। মূলত সেলস লিডারশিপ বিষয়ক ট্রেনিংয়ে তিনি বাংলাদেশের কর্পোরেটে কাজ করছেন। গত ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা শহরের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ৬ষ্ঠ রিজিওনাল কনফারেন্সে ৭ শতাধিক প্রশিক্ষকের মধ্যে ১০০ জন অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। ‘ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ট্রেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএসটিডি)’ আয়োজিত একটি দীর্ঘ প্রতিযোগিতা শেষে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি।

প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ইউসুফ ইফতি বলেন, ‘২ মাসব্যাপী বিভিন্ন স্তরের পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমে ৪০ জন, এরপর ২০ জন, এরপর প্রথম ১০ জন এবং চূড়ান্তভাবে প্রথম এবং দ্বিতীয় জনকে রানারআপ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। যেখানে সব দেশের ট্রেইনারদের পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করি। দ্বিতীয় হয়েছেন দিল্লির আনুজা সেহগাল এবং কলকাতার মধুসূদন দত্ত।’

জানা যায়, প্রথম দশ জনের মধ্যে ছিলেন ইউসুফ ইফতি, আনুজা সেহগাল, মধুসূদন দত্ত, কেদারনাথ মুখার্জি, পার্থা দত্ত, পেরেসি সাবওয়ালা, প্রবীণ সিংহ, সোম শুভ্র মুখার্জি, উত্তম সাহা এবং কানাদ ভট্টাচারিয়া। এখানে বিচারক প্যানেলে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৫ জন সদস্য ছিলেন। খুবই গোপনীয়তা রেখে বিচার কাজ সম্পন্ন করা হয়।

আরও পড়ুন: বিসিএসে আসলে লিখিত পরীক্ষাই মুখ্য: জনি দেব

১৯৭০ সাল থেকে ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ট্রেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএসটিডি) এশিয়ান সাবকন্টিনেন্টে প্রতি বছর বিভিন্ন কনফারেন্স আয়োজন করে আসছে। এ বছরের কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘এজিলিটি এবং সাস্টেনাবিলিটি ফর অরগানাইজেশন’। কনফারেন্সে ভারত, নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশের প্রশিক্ষকরা অংশ নেন। এতে বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী, ওয়েস্ট বেঙ্গলের শ্রম এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যক্তিজীবনে ইউসুফ ইফতি ফিউচার আইকনের সিইও। তিনি ২ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতে সুনামের সঙ্গে সেলস এবং সেলস লিডারশিপ ট্রেইনার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে ট্রেইনিংয়ের ওপর পুত্রা বিজনেস স্কুল, পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ইউসুফ ইফতি বলেন, ‘এ অর্জন আমার জন্য তথা বাংলাদশের সব ট্রেইনারের জন্য অনেক বড় ভালো লাগার ব্যাপার। প্রাচীন আমল থেকে আমাদের দেশের কর্পোরেট মালিকরা বিদেশি ট্রেইনারদের প্রতি আকৃষ্ট থাকেন। তবে আজ প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশেই এখন বিশ্বমানের ট্রেইনার আছেন। যারা বাংলাদেশের মানুষকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারেন।’

আরও পড়ুন: টানা সাত বছরের চেষ্টায় সফল সোহান

তিনি বলেন, ‘এটি আমাকে সামনের দিকে কাজ করতে অনেক অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমাদের এ উপমহাদেশে আরও কাজ পেতে সাহায্য করবে। অনুষ্ঠানের পরপরই আমি ভারতের নবরত্ন কোম্পানি কোল ইন্ডিয়ার ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের কাছ থেকে প্রাথমিক কাজ করার আমন্ত্রণ পেয়েছি, যা শিগগির শুরু করবো। যারা আমাকে গড়ে তুলেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আমার মেন্টর কাজি এম আহমদকে।’

অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের বিখ্যাত এইচআর ব্যক্তিত্ব এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এতে বাংলাদেশ থেকে ২৫ জন কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেন। যাদের মধ্যে প্রফেসার ড. ফরিদ সোবহানি, মোশাররফ হোসেন, নিলুফার করিম, জানিবুল হক এবং রওশন আলি বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।