বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: গণিত

ইসমাম হোসাইন
ইসমাম হোসাইন ইসমাম হোসাইন , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৩

শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি। এ নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে ভালো করার বিভিন্ন কৌশল নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন ৪০তম বিসিএসের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হাসান সৌরভ—

গণিত
গণিত প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আমি বলবো, হাতেগোনা কিছু চ্যাপ্টার ব্যতীত বেশিরভাগ অধ্যায়ের প্রস্তুতিতে আপনার বেশি ইফোর্ট দিতে হবে না। তবে যেহেতু বিষয়টি হচ্ছে গণিত, যেখানে ৫০ এর মধ্যে ৫০ পাওয়ার সুযোগ আছে; সেহেতু এ সুযোগকে পরিপূর্ণভাবেই কাজে লাগানো উচিত।

গণিত বিষয়ে আমার নিজস্ব অনুসৃত পরামর্শ
১. যেহেতু গণিতে পিএসসি অনেক সময় সিলেবাসের বাইরে থেকেও প্রশ্ন করে থাকে, তাই নবম-দশম শ্রেণির গণিত বই ও কনফিডেন্সের বিসিএস সংক্ষিপ্ত সাধারণ গণিত বইটিকে ভিত্তি ধরে আপনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেন।

২. বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীর কাছে বিন্যাস, সমাবেশ, সম্ভাব্যতা, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, অসমতা, কার্তেসীয় জ্যামিতি, সরলরেখা ও উপপাদ্য এ অধ্যায়গুলো কঠিন মনে হয়। এ ক্ষেত্রে বুঝে বুঝে অনুশীলন করলে সহজ হয়ে যাবে। প্রয়োজনবোধে কোচিংয়ে স্বনামধন্য শিক্ষকদের কাছে অধ্যায়গুলো বুঝে নিন।

৩. অন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের মধ্যে রয়েছে ভেনচিত্র, ধারা, লগারিদম, সূচক, দ্বিঘাত সমীকরণ, বহুপদী উৎপাদক ও বীজগণিত।

৪. গণিত পরীক্ষায় সময় প্রয়োজনের তুলনায় সময় কম পাওয়া যায়। পরীক্ষার হলে অনেক সময় যথাযথ উত্তর না আসায় পরীক্ষার্থী আতঙ্কিত হয়ে আরও বেশি বিপদে পড়ে যেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আমার কৌশল হচ্ছে, প্রথমেই আমি ৫০ এ ৫০ টার্গেট না করে ৩৭-৪০ মার্কস টার্গেট করি ও রিভাইস দিয়ে সেগুলো কনফার্ম করি। যাতে এর নিচে মার্কস না আসে। পরে বাকি সময়ে বাকি ম্যাথস করি। এটি বিশেষ করে ম্যাথ পরীক্ষায় ভালো কৌশল হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় কিছু পরীক্ষার্থী তাড়াহুড়ায় প্রথম থেকেই ৫০ এ ৫০ পাওয়ার চাপ নিয়ে নেন এবং ছোট ছোট হিসাবের গরমিল, অবচেতন ভুল প্রভৃতি কারণে মার্কস অনেক নিচে চলে আসে। এ ক্ষেত্রে ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিন ও হিসাবগুলো রিভাইস দিন, যাতে ভুল হওয়ার সুযোগ কমে যায়।

৫. যেসব প্রশ্নে ১টি ম্যাথে সরাসরি ০৫ মার্কস, সেগুলো উত্তর করার চেষ্টা করুন। তাতে সময় বাঁচবে। তবে প্রশ্নভেদে ভিন্নরকম কৌশল অবলম্বন করুন।

৬. বিগত বিসিএসের প্রশ্নগুলো সমাধান করুন। উপপাদ্য ও ব্যতিক্রম ধরনের ম্যাথগুলো নোট করে রাখলে পরীক্ষার আগে রিভিশন দেওয়াটা সহজ হয়ে যাবে। উপপাদ্যে কোনো সূত্র প্রয়োগ করা হলে তৃতীয় বন্ধনীর মধ্যে সূত্রের সাধারণ নির্বচন লিখে দিন। অন্যথায় মার্কস কম পাওয়ার সুযোগ আছে।

৭. অনেক পরীক্ষার্থী সঠিকভাবে ম্যাথ করেও ‘উত্তর’ কথাটি এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। দুটি উত্তর চাওয়া হলে দুটিতেই উত্তর চিহ্নিত করে দিন।

আগের পর্ব
> বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: বাংলা
> বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি: ইংরেজি

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।