ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা শুরু ২৩ জুন
ঢাকায় প্রথম ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলা ২০২৩ আয়োজন করছে রাজকীয় ভুটানি দূতাবাস। আগামী ২৩-২৫ জুন গুলশানের শুটিং ক্লাবে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলাটি বাণিজ্য, শিল্প ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ভুটানের রাজকীয় সরকারের কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভুটান কান্ট্রি অফিস অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকরা জানান, ভুটান এবং বাংলাদেশ ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষর করেছে। তবে মহামারির কারণে দুই দেশ চুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। এ লক্ষ্যে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের জনগণের পারস্পরিক সুবিধার জন্য ভুটান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
‘ভুটানে বেড়ে ওঠার জন্য বিনিয়োগকারী, প্রযোজক, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের মধ্যে মিলবন্ধন’ শিরোনামে মেলাটি দুই দেশের ব্যবসা, উদ্যোক্তা এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চমৎকার প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে। বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: পরিশ্রম কখনো বিফলে যায় না: এম এ মান্নান
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি থেকে মেলাটি উদ্বোধন করবেন। অন্যদের মধ্যে আবাসিক মিশন বা দূতাবাসের প্রধান, ব্যবসার চেয়ারপারসন, শীর্ষ ব্যবসায়িক সংস্থার নির্বাহী এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। ভুটানের রাজকীয় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ভুটান কান্ট্রি অফিসের বিশেষজ্ঞরা এ মেলায় অংশ নেবেন।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মেলার পাশাপাশি ভুটানের বিশেষজ্ঞরা ভুটানে বিনিয়োগের সুযোগ এবং বিশেষ করে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে সেমিনার আয়োজন করবেন। সেমিনারগুলো ২৩-২৫ জুন মেলার স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
ভুটানের প্রায় ২৫টি কোম্পানি মেলায় অংশগ্রহণ করবে। ভুটানে তৈরি এবং ভুটানে উৎপাদিত প্রিমিয়াম মানের পণ্যের বিস্তৃত পরিসর প্রদর্শন করবে। বিস্তারিত তথ্য (মেলার ওয়েবসাইটে www.bhutantradeshow.com) পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: গ্রোথ মার্কেটিংয়ে অপার সম্ভাবনা আছে: মেহজাবিন বাঁধন
মেলার তারিখ ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল, ভুটানের কাউন্সিলর (বাণিজ্য) কেনচো থিনলে, ভুটানের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) জিগড্রেল ওয়াই শেরিং, ভুটানের কাউন্সিলর (অর্থ) মিসেস শেরিং চোকি এবং ভুটান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব পেমা সেলডন।
এসইউ/জেআইএম