লাইট ওয়ার্কশপের ২ দিনব্যাপী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মেলা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ০৬ জুন ২০২৩

ঢাকার ধোলাইখাল ও জিনজিরায় বহু সংখ্যক লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ আছে। বলা হয়ে থাকে, যে কোনো জিনিসের স্যাম্পল দিলে চৌকস ইঞ্জিনিয়াররা সেগুলো বানিয়ে ফেলতে পারেন। তবে এখন আর শুধু কপি প্রোডাক্ট নয়, নিজেদের উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ এবং সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করছেন নিজেদের ওয়ার্কশপে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘বাস্তব-ইনিশিয়েটিভ ফর পিপলস সেলফ ডেভেলপমেন্ট’র মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায়, সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের (এসইপি) আওতায় ঢাকা জেলার জিনজিরা ও ধোলাইখালের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা শুধু পণ্য উৎপাদন নয়, প্রচারণা ও বিপণন করছেন।

প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে বাস্তবের আয়োজনে সম্প্রতি হয়ে গেল ২ দিনব্যাপী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মেলা। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির (বাইশিমাস) সহ-সভাপতি সারোয়ার হাসান আলো, বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিমা) সভাপতি মো. আফতাব জাবেদ।

আরও পড়ুন: আগ্রহের বিষয় নিয়েই আগাতে হবে: সুশান্ত পাল

বাংলাদেশে এরকম লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ আছে প্রায় ৪০ হাজারের মতো। যার মধ্যে ১০ হাজার ওয়ার্কশপ জিনজিরা ও ধোলাইখালের দনিয়া, রুহিতপুর, আটিবাজার, খোলামোড়া ও রাজেন্দ্রপুর এলাকায়। তাই এ সেক্টরে কাজের সুযোগ এবং সম্ভাবনা এখনো অনেকটাই অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে।

Entrepreneur

পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বে ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি অনেক বড় একটা খাত। তার চেয়েও বড় খাত এর মার্কেটিং এবং বাজারজাতকরণ। এ সময় জিডিপির ২৫ পার্সেন্ট আসছে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানুফ্যাকচারারদের কাছ থেকে। আমরা গত ৩ বছরে বিভিন্ন ক্লাসটার তৈরি করে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছি। এ টাকাই এখন ধোলাইখাল ও জিনজিরার ইঞ্জিনিয়ারদের ভেতরে সার্কুলেট হচ্ছে। কিন্তু এ সেক্টরে ইনভেস্টমেন্ট দরকার আসলে ৬-৭ হাজার কোটি টাকা। তাহলে এ ইন্ডাস্ট্রি বুম করবে। এ দক্ষ জনশক্তি প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পের দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে।’

বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল মার্চেন্ডাইজ ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (বীমা) সভাপতি মো. আফতাব জাবেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের তৈরি পণ্য পুরো বাংলাদেশে এবং বিদেশেও ছড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের সেই সক্ষমতা আছে। সরকার যদি আমাদের ঠিকঠাক সাহায্য করে এবং ঋণ সুবিধা দেয়। তাহলে আমাদের পণ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারবো।’

আরও পড়ুন: আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সফট স্কিল ওয়ার্কশপ

এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য পরিবেশগতভাবে টেকসই পদ্ধতি গ্রহণ করে পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ গড়ে তোলা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা। উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করা। শ্রমিকদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করা। পরিবেশ ব্যবস্থাপনার জন্য কারখানা বর্জ্যের বিকল্প ব্যবহার প্রচার করা। ভোক্তা ও বাজারে চাহিদা নিরূপণের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির জন্য একটি ব্র্যান্ড গড়ে তোলা।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।