আগ্রহের বিষয় নিয়েই আগাতে হবে: সুশান্ত পাল

মামুনূর রহমান হৃদয়
মামুনূর রহমান হৃদয় মামুনূর রহমান হৃদয় , ফিচার লেখক
প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ২৭ মে ২০২৩

ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল। ৩০তম বিসিএসে হয়েছিলেন দেশসেরা। বর্তমানে বাংলাদেশ কাস্টমসের উপ-কমিশনার হিসেবে কর্মরত। তার কথার জাদুতে অনেক শিক্ষার্থীর জীবন বদলে গেছে। সম্প্রতি তিতুমীর কলেজ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সে সময় তিনি জানিয়েছেন জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা, দিয়েছেন পরামর্শ। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মামুনূর রহমান হৃদয়—

জাগো নিউজ: প্রযুক্তির যুগে শিক্ষার্থীরা কোন সেক্টরে গেলে ভালো করবে বলে মনে করেন?
সুশান্ত পাল: এটা নির্ভর করে কে কোন সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহী তার ওপর। এখন কেউ যদি সিভিল সার্ভিসে আসতে চান, তাহলে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে পারদর্শিতার প্রয়োজন নেই। তিনি যে বিষয়েই পড়াশোনা করুন না কেন, অসুবিধা নেই। তবে সিভিল সার্ভিসে সুযোগ পাওয়ার পর অরিয়েন্টেশন, সার্ভিসের কিছু ট্রেনিং নিলেই ধীরে ধীরে সব শেখা হয়ে যায়। আর কেউ যদি গবেষণা করতে চান, তাহলে যে বিষয়ে গবেষণা করতে চান; তাকে সেটি নিয়েই কাজ করতে হবে। কেউ যদি কর্পোরেট সেক্টরে কাজ করতে চান, সে ক্ষেত্রে ব্যবসার কিছু নিয়ম-কানুন জানতে হবে। বিভিন্ন কোর্স করতে হবে। এককথায় ভালো কিছু করতে চাইলে যে যে বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তাকে সে বিষয় নিয়েই আগাতে হবে।

আরও পড়ুন: বাবার অনুপ্রেরণায় বিসিএস ক্যাডার মানস

জাগো নিউজ: মোটিভেশনাল বার্তা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে। তবে মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল কী?
সুশান্ত পাল: ধরুন, কাউকে পানিতে চুবিয়ে মাথাটা চেপে ধরলেন; তখন তার মোটিভেশনের দরকার হবে না। তিনি নিজ থেকেই চেষ্টা করবেন মাথা বের করার। তেমনই যে কাজটি সত্যিই প্রয়োজন, সেখানে কোনো মোটিভেশন দরকার হয় না। তিনি কাজটি করবেনই। আবার কেউ যদি ভাবেন, কাজটি করলেও চলে, না করলেও চলে; তাদের জন্য মোটিভেশন একটি জার্নি। মোটিভেশন শুধু যাত্রাপথটা ঠিক করতে পারে। তবে সেই পথে চলতে হবে আপনাকেই। আর মোটিভেটেড হোক বা না হোক; একজন শিক্ষার্থীর ভালো কিছু পেতে হলে অবশ্যই পড়ার টেবিলে সময় দিতে হবে। ভালো না লাগলেও নিজেকে বসিয়ে রাখতে হবে। অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।

জাগো নিউজ: একটানা ক্লাস করার পর শিক্ষার্থীরা ক্লান্তি অনুভব করেন। সে ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে মোটিভেশনাল ক্লাসের প্রয়োজন আছে কি?
সুশান্ত পাল: তেমন প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ উপকৃত হন। সবাই যে উপকৃত হন, তা কিন্তু নয়। কথাগুলো মনে রাখেন বা কাজে লাগান এরকমও নয়। হয়তোবা যতক্ষণ শোনেন; ততক্ষণ তিনি ভাবেন, আমি কাজগুলো করে ফেলবোই। কিন্তু আসলেই যদি তিনি কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে না করেন, তাহলে তিনি যেখানে পৌঁছাতে চাচ্ছেন, সেখানে পৌঁছাতে পারবেন না। শিক্ষকরাও ক্লাসে মোটিভেশনাল কথা বলেন। বরং আরও গুছিয়ে বলেন। তবে একজনের কথা প্রতিনিয়ত শুনলে একটু আলসেমি লাগবেই। তাই বাইরে থেকে কোনো মোটিভেশনাল বক্তা এলে তার কথাগুলো সাদরে গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় সফল ইংরেজি শিক্ষক নির্ঝর

জাগো নিউজ: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আপনার কী বার্তা থাকবে?
সুশান্ত পাল: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বার্তা থাকবে, আপনি যে সময়টাতে বেঁচে আছেন, আপনার আয়ুর সময়টাকে আপনার পক্ষে সর্বোচ্চটা দিয়ে যেভাবে ভালো কাজে লাগানো সম্ভব, সেভাবে কাজে লাগান।

এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।