অস্ট্রেলিয়ায় দক্ষিণ এশীয় উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২২

একবিংশ শতাব্দীতে উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসার এবং চিন্তাধারার ডিজিটাল অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার অন্যতম মাধ্যম হলো দৃঢ় বন্ধন এবং নেটওয়ার্কিং। অস্ট্রেলিয়ায় দক্ষিণ-এশীয় সম্প্রদায় গত ২০ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে এখানে উদীয়মান এবং বিদ্যমান ব্যবসাগুলোর বিকাশের সুযোগ আছে। উদ্যোক্তাদের ইকো-সিস্টেম বিকাশ করার মাধ্যমে ব্যবসাগুলোকে অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রদায় এবং মূলধারার সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে।

এ সুবিধাকে ত্বরান্বিত করার জন্য অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ-এশীয় দেশগুলোর স্বনামধন্য উদ্যোক্তাদের মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। যেহেতু ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব বিশ্বে বেড়ে চলেছে, তাই বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসাকে প্রসারিত করার এবং নেটওয়ার্ক তৈরি করার এটাই উপযুক্ত সময়।

এ লক্ষ্য নিয়েই ডিজেন একাডিম অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি ক্রাউন কনফারেন্স সেন্টার মেলবোর্নে আয়োজন করেছিল ‘সাউথ এশিয়ান এন্টারপ্রেনার সামিট’। যা ছিল দিনব্যাপী উদ্যোক্তা সম্মেলন। ডিজেন একাডেমি অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক এডুটেক প্ল্যাটফর্ম, যেটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের অংশ হতে চায় এমন ব্যক্তিদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের প্রোগ্রামের মাধ্যমে উন্নত দেশের উদোক্তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে।

এখান থেকে বাংলাদেশি তরুণ ও পেশাজীবীরা শিখবে কীভাবে বৈশ্বিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের একটি অংশ হয়ে উঠতে পারবেন। ডিজেন একাডেমি এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এ প্ল্যাটফর্মের মূল উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল টেকনোলজিতে পারদর্শী মানুষ তৈরি করা এবং তাদের আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে স্বীকৃতি দেওয়া। ডিজেনের লক্ষ্য বিশ্বমানের প্রোগ্রামের মাধ্যমে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সঠিক পথনির্দেশনা দেওয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করা।

অস্ট্রেলিয়ার সেরা দশজন সফল ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন হলেন ডিজেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি ডিজিটাল উদ্যোক্তা হেমি হোসেন।

সম্মেলনে জানা যায়, সম্প্রতি ডিজেন একাডেমি আশানা (ASHANA) নামে একটি গ্লোব্যাল মার্কেটপ্লেস শুরু করতে যাচ্ছে। নামটি এসেছে বাংলা ‘আশা’ থেকে। এ গ্লোব্যাল মার্কেটপ্লেসের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ফান্ডিং করেছেন আমেরিকার শীর্ষ স্টার্টআপ বিজনেস সাপোরটিভ প্ল্যাটফর্ম প্রোজেক্ট টেনএক্স।

সামিটে হেমি হোসেন তার প্রতিষ্ঠান ডিজেন একাডেমি নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেছিলেন। এ বিনিয়োগ ডিজেন একাডেমিকে বাংলাদেশে নতুন নতুন ডিজিটাল উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এমনকি বৈশ্বিক বিজনেস জায়ান্টদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ দেবে।

এ সেশনে আরও অংশগ্রহণ করেন ক্যালে চু, ইন্তাজ খান, হেলেন ট্যারেন্ট, অস্ট্রেলিয়ার কিং অব রিয়েল এস্টেট খ্যাত জেড নাশিতের মতো ব্যক্তিরা। এ ছাড়াও একজন পুরস্কার বিজয়ী সম্পদ, ব্যবসা বিশেষজ্ঞ, উদ্যোক্তা রন মালহোত্রা এবং সাবেক টেনিস তারকা ইউলিনা ডকিচ বক্তৃতা দেন।

উদ্যোক্তাদের নেটওয়ার্কিংকে ত্বরান্বিত করার জন্য চিন্তাশীল নেতা, ডিসিশন মেকার এবং বিশ্বব্যাপী প্রগতিশীল চিন্তাধারার ব্যক্তিবর্গ এতে যোগ দেন। মাঝারি বা স্বল্প পরিসরের উদ্যোক্তা, ছোট স্টার্ট-আপ, নারী উদ্যোক্তা এবং সম্ভাব্য উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে ব্যবসায় এবং চিন্তাধারার বিকাশ ঘটাতেই এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, যেমন- ডিসিশন মেকার, উদ্যোক্তা, ইনভেস্টর, আইসিটি, তথ্য সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষাবিদদের নিয়ে আসা এবং এর বাইরে মজবুত ডিজিটাল বিকাশের জন্য কীভাবে ক্রস কান্ট্রি সম্পর্কোন্নয়নকে উৎসাহিত করা যায়, সে সম্পর্কে গঠনমূলক প্যানেল আলোচনা করা।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।