৩৬৯ কেন্দ্রে হবে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলি
৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর। দেশের আটটি বিভাগের ৩৬৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রে এ পরীক্ষা আয়োজন হবে বলে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) সূত্রে জানা গেছে।
পিএসসি বলছে, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী ২৯ অক্টোবর ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৬৯টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা আয়োজন হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র চূড়ান্ত করতে সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হবে। পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা-
১. প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর হবে ৮ (আট) ডিজিটের। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিট উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
২. প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি থাকবে। প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাটের প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কি না, তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে জানাবে।
৩. প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর (সকাল ১০টা) কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নপত্র নেওয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকক্ষ ছাড়তেও পারবেন না।
৪. কোনো প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গড়মিলসহ কোনো ধরনের অনিয়ম ধরা পড়লে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫. পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সব প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৬. পরীক্ষা হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধসামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।
৭. পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোন ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
৮. প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
৯. প্রার্থীর আবেদনপত্রে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়লে পরীক্ষার আগে বা পরে যে কোনো পর্যায়ে ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
১০. ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর প্রিলিমিনারি টেস্টের ওএমআর উত্তরপত্রের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশে প্রার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট নম্বর এবং স্বাক্ষরের স্থান থাকবে। দ্বিতীয় অংশে ২০০টি উত্তর দেওয়ার জন্য ১-২০০ পর্যন্ত ক্রমানুযায়ী বৃত্তসমূহ থাকবে।
৪৩তম সাধারণ বিসিএসের জন্য গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন প্রক্রিয়া। শুরুতে আবেদনের শেষ সময় এ বছরের ৩১ জানুয়ারি করা হলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশে সময় বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।
সরকার ৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ জনকে নিয়োগ দেবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩০০ জনকে।
এমএইচএম/এমকেআর/এমএস