মায়ের অনুপ্রেরণায় উদ্যোক্তা হন মাহজাবীন
খালিদ সাইফুল্লাহ্
বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতের পরিচিত মুখ মাহজাবীন ফেরদৌস স্বর্ণা। সম্প্রতি উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং নেতৃত্বের গুণে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্টানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করেছেন। পেয়েছেন ব্র্যান্ড বিল্ডারসহ অসংখ্য পুরস্কার। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিংয়ে স্নাতক করার পর কাজ করেন বেশ কিছু বিজ্ঞাপনী সংস্থায়।
এরপর ৫ বছরের বেশি স্যামস্যাংয়ে কাজ করার পর দেশের প্রথম বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডে হেড অব ব্র্যান্ড অ্যান্ড কর্পোরেট কমিউনিকেশন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘসময়। পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্টের (ব্যানক্যাট) সেক্রেটারি জেনারেল এবং ওমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করছেন।
কয়েকজন সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে সাথে নিয়ে ‘দারুচিনি’ নামে একটি উদ্যোগ শুরু করেন মাহজাবীন। যেটি মূলত ফেসবুক নির্ভর মিষ্টান্ন বিক্রির একটি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়াও সম্প্রতি সিথ্রিসিক্সটি নামক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান শুরু করেছেন।
উদ্যোক্তা হওয়ার কারণ সম্পর্কে মাহজাবীন বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ভাবনা ছিল, ১০ বছর কাজ করবাে। এরপর নিজের মতাে কিছু করবাে। সেই ভাবনা থেকেই বর্তমান পথচলা। করোনাভাইরাস অনেক কিছুই নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। এর মধ্যে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার প্রয়ােজনীয়তা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।’
দারুচিনি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখানে অভিজাত রান্না, খাবারের স্বাদ এবং সুগন্ধির সমন্বয়ে তৈরি স্পেশাল রসগোল্লা, চমচম, কালোজাম, ক্ষীর চমচম, কাঁচা ছানা, গাজরের সন্দেশ, গুড়ের সন্দেশ, ইরানি ভোগ, আমিত্তি, দিল্লির লাড্ডু, ঘি ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। ফেসবুকে অর্ডার করলেই ঢাকার ভেতরে হোম ডেলিভারি দিচ্ছে দারুচিনি।’
উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তার মায়ের কাছ থেকে। মাহজাবীন বলেন, ‘আমার মা ছিলেন স্বাবলম্বী। মায়ের কাছে পাওয়া শিক্ষা আমাকে কারও কাছ থেকে হাতখরচ নিতে দ্বিধায় ফেলে দিতো।’
তিনি বলেন, ‘নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় টিউশন ফির প্রায় পুরাে খরচই নিজে জোগাতাম। জীবনের মানে বুঝে ওঠার সময় থেকেই স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার তাড়নায় আজ আমি এখানে।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সমাজ, দেশ ও দেশের মানুষ বিশেষ করে নারীদের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, সবাই সব পারে। শুধু প্রয়ােজন সুযােগ এবং সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা।’
এসইউ/এমএস