সফল হতে যে পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ১২ জুন ২০২০

মো. মেহনাজঊদ্দীন রুপম। জার্মানভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি আমান বাংলাদেশ লিমিটেডের এইচআর বিভাগের প্রধান। এমনকি এশিয়ার এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট সার্ভে প্রজেক্ট অ্যান্ড নিউ এইচআর প্রজেক্ট লিড হিসাবে কাজ করছেন। সম্প্রতি তার ক্যারিয়ার ও সফলতা নিয়ে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সমসাময়িক বিষয়ে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বেনজির আবরার

আপনার ছোটবেলা ও পড়াশোনা সম্পর্কে জানতে চাই—
মো. মেহনাজঊদ্দীন রুপম: জন্ম ১৯৮৭ সালের ৮ মে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায়। জন্ম বংশালে হলেও আমাদের আদি নিবাস সোনারগাঁওয়ের গোয়ালদি এলাকায়। আমার দাদা, বাবার শৈশবকালীন সপরিবারে পুরান ঢাকায় স্থায়ী নিবাস গড়ে তোলেন। দাদা ছিলেন চাকরিজীবী। তবে বাবা ধীরে ধীরে লৌহ ব্যবসা গড়ে তোলেন। যা এখন আমার ছোট ভাই খুব নিষ্ঠার সাথে প্রসার করছে। আমি ভাই-বোনদের মধ্যে বড়। তারপর আমার ছোট ভাই, তারপর দু’বোন। বলা বাহুল্য, আমার ছোটবেলা পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং পরিচিতজনের সাথে হৈ-হুল্লোড়, খেলাধুলা আর মজার মজার খাবার খেয়ে কেটেছে। মা এত মজার রান্না করেন যে, বাইরের চেয়ে ঘরের খাবারই বেশি আকর্ষণীয় ছিল আমার কাছে। তবে সকালের নাস্তা বেশিরভাগ আলীর পরোটা, স্যুপ অথবা স্টারের বা আল-রাজ্জাকের পরোটা, নান, নেহারি দিয়েই হতো। সন্ধ্যাবেলা বাসার নিচে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট, ক্যারাম, ব্যাডমিন্টন খেলে এবং আড্ডা দিয়ে কখন যে রাত হয়ে যেত টেরই পেতাম না। যখন উপরতলা থেকে মা ‘রুপম’ বলে ডাক দিতেন, তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ভোঁ-দৌড় দিতাম আর বন্ধুরাও যে যার বাসায় ছুট লাগাত।

আর পড়াশোনার ক্ষেত্রে সন্ধ্যার আসর শুরু হওয়ার আগে দুপুর থেকে চলত আমাদের গ্রুপ স্টাডি বা বাসায় বসে হোমওয়ার্ক সেরে ফেলতাম। স্কুল ছিল পুরান ঢাকার আহমদ বাওয়ানি একাডেমি। যেখানে আমার দীর্ঘ ১১ বছর স্কুল জীবন কেটেছে। স্কুলের সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে রয়েছে অসংখ্য আনন্দ ও মজার মজার স্মৃতি। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে শুরু হয় ঢাকা কমার্স কলেজ, মিরপুরে কলেজ জীবন। কলেজ জীবন স্বল্প হলেও বাসে একসাথে আসা-যাওয়া, কলেজ শেষে বাইরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া আর ক্লাস বিরতিতে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে খেলা, আড্ডা- সব মিলিয়ে কম সময়ে পরিসরটা ছিল বিশাল। কলেজে মেধার ভিত্তিতে সেকশন পরিবর্তন হতো। শুরু করেছিলাম সেকশন-ডিতে, যা এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছিল। প্রথম টার্ম পরীক্ষার পর সেকশন-এ’তে উন্নীত হই। যেখানে কলেজের শেষ অবধি ছিলাম। টপ সেকশনে হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্নেহভাজন ছিলাম। স্কুল এবং কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে পড়াশোনা করেছি। ২০০৩ সালে এসএসসি ও ২০০৫ সালে এইচএসসি পাসের পর ২০১০ সালের আগস্ট মাসে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে মার্কেটিং ও এইচআর বিষয়ে ‘ডুয়াল মেজর’ নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করি। ফলাফল প্রকাশের আগেই ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ট্রেড মার্কেটিং বিভাগে চাকরি শুরু করি। পর্যায়ক্রমে ক্যারিয়ারের বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে এখন পর্যন্ত একাডেমিক আর কোনো পড়াশোনা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে চাকরির পাশাপশি ২০১২ সালে ‘ইন্সটিটিউট অব সাপ্লাই চেইন এডুকেশন অ্যালায়েন্স’ থেকে ‘সার্টিফাইড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজার’ এবং ‘বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজম্যান্ট’ থেকে ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ সার্টিফিকেট অর্জন করেছি।

rupam

এইচআর পেশায় কেন এলেন?
মো. মেহনাজঊদ্দীন রুপম: এইচআর পেশায় সম্পূর্ণ নিজের প্যাশন থেকে। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ট্রেড মার্কেটিং বিভাগে চাকরি অবস্থায় আমাদের সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভদের নিয়মিত বিভিন্ন ট্রেনিং করাতে হতো। তাদের ইন্সেন্টিভ প্যাকেজ, কম্পেনসেশন বাস্কেট ডিজাইন করতে হতো। যেহেতু মার্কেটিংয়ের পাশাপাশি এইচআরেও আমার মেজর ছিল, এ সম্বন্ধে একটা ধারণা ছিল। আমার খুব ভালো লাগত এ কাজগুলো করতে। একদিন আমি এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর সাউথ বেঙ্গল রিজিওনাল ম্যানেজার ভ্রমণ করছিলাম। আগ্রহবশত তার কাছে জানতে চাইলাম, ক্রস ফাংশনাল ট্রান্সফার হয় কি-না এবং আমার পক্ষে সম্ভব কি-না। তিনি উত্তরে বললেন, অবশ্যই সম্ভব, তবে সময়সাপেক্ষ। আমি সুযোগের অপেক্ষায় থাকলাম এবং অনলাইনে কিছু গবেষণা শুরু করলাম। পাশাপশি বিএটি’র এমপ্লয়ি হ্যান্ডবুক মোটামুটি ভালো রিসার্চ করলাম।

একদিন আমাদের রিজিওনাল অফিসে বিএটি’র কম্পেনসেশন ম্যানেজার এলে তার কাছ থেকে অনহ্যান্ড কিছু বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা হলো। আগ্রহ যখন চরমে, হঠাৎ বেক্সিমকো ফার্মার এইচআর ম্যানেজার আরশাদ ভাইয়ের সাথে আলাপ, বেক্সিমকো ফার্মার এইচআর বিভাগে কোনো সুযোগ থাকলে জানাবেন। হঠাৎ কিছুদিন পর আরশাদ ভাইয়ের ফোন। বললেন, রুপম জয়েন করবেন, বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কিন্তু বিএটি’র চাইতে অনেক কম। বললাম, ভাইয়া মানুষকে নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে। তাদের সাইকোলজি, ট্রেনিং, এনগেজমেন্ট নিয়ে অনেক পড়ালেখা করেছি। এখন হাতেকলমে কাজ করতে চাই। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমার এইচআর ক্যারিয়ার শুরু হয় বেক্সিমকো ফার্মার সাথে। তারপর ২০১৩ সালে যোগদান করি ফ্রান্সভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান লাফার্জে। যা বর্তমানে লাফার্জ-হোলসিম লিমিটেড। বর্তমানে একটি জার্মানভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি আমান বাংলাদেশ লিমিটেডের এইচআর বিভাগের প্রধান এবং এশিয়ার এমপ্লয়ি এনগেজমেন্ট সার্ভে প্রজেক্ট অ্যান্ড নিউ এইচআর প্রজেক্ট লিড হিসাবে কাজ করছি। মূলত মানুষের সাইকোলজি, ট্রেনিং, এনগেজমেন্ট বিষয় নিয়ে কাজ করার তীব্র ইচ্ছা এবং তৎকালীন এইচআর প্রফেশনের একটি নিশ মার্কেট আমাকে এ পেশায় ক্যারিয়ার শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

জীবনে যা হতে চেয়েছিলেন—
মো. মেহনাজঊদ্দীন রুপম: হয়তো পরীক্ষার খাতায় কী হতে চাই-এ বিষয়ে আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রতি ক্লাসেই পরিবর্তন হয়েছে। তবে বাবার মতো একজন উদ্যোক্তা হতে চেয়েছিলাম এবং চেষ্টা অব্যাহত আছে!

rupam-1

যারা এইচআর সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান, করোনা তাদের কেমন বার্তা দিচ্ছে?
মো. মেহনাজঊদ্দীন রুপম: আমি বলবো, কোভিড-১৯ এইচআর ক্যারিয়ার প্রত্যাশীদের জন্য অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ের জন্য প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করার দায়িত্ব কিন্তু একজন এইচআর প্রফেশনালকে নিতে হবে। আমি একটি উদাহরণ দেই, যেমন কোভিড-১৯ পরবর্তী কর্মক্ষেত্রে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং, রিমোর্ট ওয়ার্ক টার্মগুলো কিন্তু রয়েই যাবে। অনেকে অফিসে না আসার অভ্যস্ততার কারণে কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। সুতরাং তাদের প্রতিষ্ঠান এবং কাজের সাথে এনগেজ রাখা ও মোটিভেশন লেভেল ধরে রাখার জন্য এমপ্লয়ি এনগেজমেন্টে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে হবে। এখন যেহেতু টেকনোলজির ব্যবহার বেড়েছে। সুতরাং এ পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মশক্তি গড়ে তুলতে হলে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এসব প্রজেক্ট একজন এইচআর প্রফেশনালের কাছ থেকেই প্রতিষ্ঠান প্রত্যাশা করে। আর নতুন জনশক্তি অভিনব কৌশল নিয়ে আসবে এটাই প্রত্যাশিত। সুতরাং কোভিড-১৯ একটি যথেষ্ট ইতিবাচক সম্ভাবনার কথা বলছে।

সামাজিক যেসব সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন—
মো. মেহনাজঊদ্দীন রুপম: আমি কোনো সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত নই। তবে আমার সাধ্যমত সমাজকে দেওয়ার চেষ্টা করছি। চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স মাইক্রোসফ্ট এক্সেল ট্রেইনার হিসাবে কাজ করি। বর্তমানে একটি অনলাইনভিত্তিক ট্রেনিং সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থ্রাইভিং স্কিলসের সাথে কোর্স অথর হিসাবেও যুক্ত আছি। সেখানে গত ২ মাসে প্রায় ৫টিরও বেশি অনলাইন ট্রেনিং করিয়েছি। যার মধ্যে অধিকাংশই ছিল ফ্রি এবং পেইড ট্রেনিংয়ের সর্বমোট আয়ের ১০ ভাগ কোভিড-১৯-এ এফেক্টেড গরিব মানুষের জন্য ডোনেট করা হয়েছে। এ ছাড়াও আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যেখানে বিনা মূল্যে এক্সেলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রিক্স এবং টিপস যে কেউ শিখে নিতে পারে। পাশাপাশি মো. নাজমুল মুনির ভাই, যিনি একজন এক্সেল ট্রেইনার তার সাথে সংযুক্ত হয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপও ওপেন করেছি। যেখানে ফ্রিতে এক্সেল বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। এরই মাধ্যমে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সমাজকে কিছু দিতে।

তরুণরা অবসর সময়ে কী কী দক্ষতা অর্জন করলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে?
মো. মেহনাজঊদ্দীন রুপম: আমি একটু রিসার্চের রেফারেন্স দিয়ে বলি, যা বিশ্বব্যাপি ৬৬০ মিলিয়নেরও বেশি প্রফেশনালদের জরিপের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর লিংকডইন লার্নিং রিপোর্টে ৫টি মোস্ট ডিমান্ডিং সফ্ট স্কিলস এবং ১০টি মোস্ট ডিমান্ডিং হার্ড স্কিলসের কথা বলেছে। সফ্ট স্কিলসগুলো হচ্ছে- ক্রিয়েটিভিটি, পার্সুয়েশন, কোলাবোরেশন, অ্যাডাপ্টিবিলিটি এবং ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স। হার্ড স্কিল্সগুলো হচ্ছে- ব্লকচেইন, ক্লাউড কম্পিউটিং, এনালিটিক্যাল রিজনিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইউএক্স ডিজাইন, বিজিনেস এনালাইসিস, এফিলিয়েট মার্কেটিং, সেলস, সায়েন্টেফিক কম্পিউটিং, ভিডিও প্রোডাকশন। আমি বলব, এটা তরুণদের জন্য খুব পরিষ্কার একটি গাইডলাইন। কোভিডের সময় লিংকডইন লার্নিং, ইউডেমির মত গ্লোবাল লার্নিং প্লাটফর্ম প্রচুর ট্রেনিং করাচ্ছে। পাশাপাশি আমিও প্রচুর ফ্রি এবং মিনিমাম ফিতে ট্রেনিং করাচ্ছি থ্রাইভিং স্কিলসের সাইটে। যা কি-না লিংকডইনের টপ ১০টি হার্ড স্কিলের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আমার উপদেশ হবে, যতটা সম্ভব এসব ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করে নিজেকে আপস্কিল করা যায়।

rupam-2

তরুণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পরামর্শ—
মো. মেহনাজঊদ্দীন রুপম: তিনটি পরামর্শ দেবো-
১. একজন রোল মডেল বা মেন্টর ঠিক করতে হবে। যাকে আদর্শ ধরে এগোতে হবে। তবে হ্যাঁ, সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হবে। তাদের থেকেও কিন্তু ভালো গুণাবলী নিজের মধ্যে ধারণ করে নিতে হবে।
২. সব সময় নিজেকে ট্রেনিং বা লার্নিংয়ের মধ্যে নিয়োজিত রাখতে হবে। কেননা পৃথিবী পরিবর্তন হচ্ছে এবং খুব দ্রুত। নিজেকে এ পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখতে হলে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
৩. পরামর্শটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা আমি মনে করি সফল হওয়ার জন্য খুবই দরকার। নিজের কাজের কোনো সীমা রাখা যাবে না। এমন মনে করা যাবে না যে, ওই কাজটি আমার নয়। মনে রাখতে হবে, নতুন কিছু করলেই নতুন স্কিল যুক্ত হবে। উন্নতি তখনই হবে; যখন নিজেকে অন্য সবার থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে পারবে।

এসইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।