খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানোর ১১ উপায়
একে তো করোনা, তার ওপর আম্ফান। কর্মহীন, ভিটাহীন হয়েছেন অনেকেই। তাই পৃথিবীতে টিকে থাকতে হলে নিশ্চিত খরচ কমাতে হবে। অন্তত আগামী কয়েক বছর খরচ কমাতে না পারলে সমস্যায় পড়বে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা।
কিন্তু এমনি এমনিই তো আর খরচ কমে যাবে না। তার জন্য মানতে হবে কিছু নিয়ম-কানুন। আসুন তাই জেনে নিই কীভাবে খরচ কমিয়ে সঞ্চয় করতে হয়—
১. প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করুন। সমস্যা নেই বলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে অপচয় করবেন না। আগামী দিন ভালো না-ও হতে পারে!
২. ঘরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখুন। তাতে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, খরচও কমবে। এ সময়ে বাইরে খাওয়া ঠিক নয়। তাই সাবধান হওয়াই ভালো।
৩. বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে অফিসে যাবেন। ক্যান্টিনের খাবার নিরাপদ না-ও হতে পারে। খরচ তো আছেই।
৪. জামা-কাপড় প্রয়োজন মতোই কিনুন। এমনিতেও বছরখানেক উৎসব-অনুষ্ঠান তেমন একটা হবে না। ফলে বাড়তি খরচ করে লাভ নেই।
৫. রূপচর্চার খরচ কমান। তাছাড়া পার্লারে করোনার আশঙ্কা আছে। যতটুকু পারেন, ঘরেই রূপচর্চা করুন। চুল কাটাতে ২-৩ মাসে একবার যেতে পারেন।
৬. উপহারের বাজেট কমিয়ে ফেলুন। উৎসবে-অনুষ্ঠানে কম গেলেই সবচেয়ে ভালো হয়। তাছাড়া এমন রীতি বন্ধ করতে পারলেও ভালো।
৭. ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা অন্তত এ বছরের জন্য স্থগিত রাখুন। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা জমানোর চেষ্টা করুন।
৮. রোজগারের ৫-১০ শতাংশ টাকা ডিপোজিটে রাখতে পারেন। টাকাটা সরাসরি বেতন থেকে কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
৯. স্বাস্থ্যবিমায় বিনিয়োগ করুন। করা থাকলে টপআপ করুন নিয়মিত। যাতে বর্ধিত চিকিৎসা-খরচের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন।
১০. প্রতি মাসে বেতন পাওয়ার পর পরই বাড়ি ভাড়া, ইলেকট্রিক বিল, গ্যাস ও পানির বিলসহ অন্যান্য খরচ মিটিয়ে দিন।
১১. যে টাকা থাকবে তার ১০ শতাংশ সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা রাখুন। বছর শেষে প্রিমিয়াম বা কোনো দরকারে কাজে লাগতে পারে।
এসইউ/পিআর