ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনায় যাদেরকে দুষছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
ছবি: এএফপি (ফাইল)

সংকটের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের একটি বিশেষ দায়িত্ব পালনের রেওয়াজ আছে, যাকে বলা হয় কনসোলার-ইন-চিফ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজের প্রেস রুমের ক্যামেরার সামনে সেই দায়িত্ব পালন করতেই দাঁড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কনসোলার-ইন-চিফের প্রচলিত বাংলা না থাকলেও প্রধান সান্ত্বনাদানকারী ব্যক্তি হিসেবে একে বর্ণনা করা যেতে পারে। সংকটের মুহূর্তে জনগণকে সান্ত্বনা ও আশ্বাসের বাণী শোনানো তার কাজ।

বিজ্ঞাপন

সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি যাত্রীবাহী প্লেনের সঙ্গে সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করলেন ট্রাম্প। বললেন, পুরো দেশ শোকাহত।

দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে উদ্ধার তৎপরতায় সাড়া দেওয়া ব্যক্তি ও ভুক্তভোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ট্রাম্প।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এরপর তিনি সরাসরি মূল বক্তব্যে চলে আসেন। যে বক্তব্য ধারণা দেয় তার নতুন মেয়াদ কীভাবে খুব ভিন্নরকম হতে চলেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই দুর্ঘটনার কারণ জানি না আমরা, তবে বেশ কিছু দৃঢ় ধারণা ও মতামত পাওয়া যাচ্ছে।

তার অনুমান, বারাক ওবামা এবং জো বাইডেনের আমলে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে নিম্নমানের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার নিয়োগই এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কেন্দ্রীয় সরকারের বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচিগুলো বরাবরই ট্রাম্প ও তার সহযোগী রিপাবলিকানদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই তারা এ ধরনের কর্মসূচি বাতিলে উদ্যোগ নেয়। তাদের দাবি, এসব কর্মসূচিকে আমেরিকানদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে এবং দুর্বল বানিয়েছে দেশকে।

এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই এর কারণ হিসেবে তাদের সেই বক্তব্যকেই সামনে নিয়ে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিজ্ঞাপন

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট, পরিবহন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা। সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সুনির্দিষ্টভাবে এই দুর্ঘটনার সম্পর্ক আছে। এমন কোনো প্রমাণ না দিলেও নিজেদের বক্তব্যে অটল ছিলেন তারা।

একজন সাংবাদিক জানতে চান, তদন্ত মাত্র শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই তিনি (ট্রাম্প) কীভাবে ডাইভারসিটি প্রোগ্রামকে (বৈচিত্র্যমূলক কর্মসূচি) দোষ দিচ্ছেন?

প্রেসিডেন্ট জবাব দেন বিকজ, আই হ্যাভ কমন সেন্স। এর আগে পরে অবশ্য তিনি উল্লেখ করেন, দুর্ঘটনার কোনো নিশ্চিত কারণ জানা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

সূত্র: বিবিসি বাংলা, এএফপি

এমএসএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।