অবশেষে দেখা মিললো ‘লাপাত্তা’ টিউলিপের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫
কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ক্যামেরাবন্দি হন টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: ডেইলি মেইল

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই অনেকটা গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। প্রকাশ্যে দেখা মিলছিল না কোনোভাবেই। অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) কর্মস্থলে যাওয়ার পথে টিউলিপকে ক্যামেরাবন্দি করে ডেইলি মেইল।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত বাড়ি ব্যবহারের তথ্য ফাঁস হওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মিললো ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের।

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্য টিউলিপ ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। অথচ তার নিজের বিরুদ্ধেই এখন দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন>>

সম্প্রতি প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে টিউলিপকে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের এক আবাসন ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠতা ছিল। টিউলিপ ২০০৪ সালে কোনো ধরনের অর্থ প্রদান না করেই লন্ডনের কিংস ক্রসের কাছে দুই বেডরুমের একটি অ্যাপার্টমেন্ট গ্রহণ করেছিলেন বলে জানা গেছে।

দৈনিক মেইলের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট উপহার হিসেবে পাওয়ার বিষয়ে সিদ্দিকের দেওয়া বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে। ২০২২ সালে তিনি দাবি করেছিলেন, তার বাবা-মা ফ্ল্যাটটি কিনে দিয়েছেন। তবে লেবার পার্টি সূত্রে নিশ্চিত করা হয়, ফ্ল্যাটটি তার খালার রাজনৈতিক সহযোগীর কাছ থেকে ‘কৃতজ্ঞতাস্বরূপ’ পাওয়া গিয়েছিল।

এছাড়া, টিউলিপ ২১ লাখ পাউন্ড মূল্যের যে বাড়িতে বসবাস করেন, সেটিও তার খালার দল আওয়ামী লীগের লন্ডন শাখার এক কর্মকর্তার মালিকানাধীন।

এর আগে, বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৪০০ কোটি পাউন্ড আত্মসাৎ করেন এমন অভিযোগে ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ। এ বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অব মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস লাউরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠিও লিখেছেন তিনি। টিউলিপ কোনো বিধি লঙ্ঘন করেছেন কি না তা তদন্ত করবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, বাংলাদেশে টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন (পুতুল) এবং আজমিনা সিদ্দিকের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি। গত ৭ জানুয়ারি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এসব তথ্য চাওয়া হয়।

কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।