গ্রিনল্যান্ডে কোনো হামলার অনুমতি দেবে না ইইউ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে বারবার হুমকি দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (নির্বাচিত) ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনিক দ্বীপটির দখল নিতে সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। এর প্রতিক্রিয়ায় বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইউরোপের দেশ ফ্রান্স বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অন্য দেশগুলোকে তার সার্বভৌম সীমান্ত আক্রমণ করার অনুমতি দেবে না।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারট বলেছেন, এতে স্পষ্টতই কোনো প্রশ্ন নেই যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে তার সার্বভৌম সীমান্তে আক্রমণ করতে দেবে না, তারা যেই হোক না কেন। আমি বিশ্বাস করি না যে যুক্তরাষ্ট্র সুবিশাল আর্কটিক দ্বীপে আক্রমণ করতে চলেছে। তবে যাই-ই হোক ইইউয়ের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
আরও পড়ুন:
- আবারও গ্রিনল্যান্ড, পানামা খাল দখলের হুমকি ট্রাম্পের
- ট্রাম্পের মন্তব্যের পর গ্রিনল্যান্ডের সুরক্ষায় ব্যয় বাড়াচ্ছে ডেনমার্ক
- গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় : ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ডেনমার্ক বারবার স্পষ্ট করেছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। এটি শুধু তার বাসিন্দাদের। এমনকি, গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য চাপ দেওয়া দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মুট এগেডেও স্পষ্ট করে বলেছেন, অঞ্চলটি কোনোভাবেই বিক্রির জন্য নয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) ফ্লোরিডায় নিজের রিসোর্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড দখলে তিনি সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কি দিতে পারবেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, না, আমি এখনই আপনাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে আমি বলতে পারি, আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য তাদের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
- ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা
- খালের নিয়ন্ত্রণ নিতে ট্রাম্পের হুমকি, কড়া প্রতিক্রিয়া পানামার
- আরও তেল-গ্যাস না কিনলে ইইউ’র ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
গ্রিনল্যান্ড ও পানামা খাল উভয়কেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ডেনমার্ককে যদি গ্রিনল্যান্ড বিক্রি করতে রাজি না হয়, তাহলে তাদের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে।
গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৭ হাজার। তবে এটি বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ ও আর্কটিক অঞ্চলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় স্পেস ফ্যাসিলিটি রয়েছে এবং সেখানে পৃথিবীর বিরল কিছু পদার্থ ও উপাদানের বৃহত্তম মজুত রয়েছে, যা ব্যাটারি ও হাই-টেক ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ