রাশিয়ার জাহাজ থেকে সমুদ্রে ছড়াচ্ছে তেল, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা
রাশিয়ার জাহাজ থেকে ছড়িয়ে পড়া বিপুল পরিমাণ তেল ক্রিমিয়ার সমুদ্র সৈকতে এসে পৌঁছেছে। রুশ প্রশাসনের দাবি, তাদের দুটি ট্যাংকার ভলগনেফ্ট ২১২ এবং ভলগনেফ্ট ২৩৯ মাঝ সমুদ্রে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর থেকে তেল ছড়াচ্ছে। প্রতিটি ট্যাংকারে প্রায় ৯ হাজার ২০০ টন তেল মজুত ছিল।
রাশিয়ার প্রশাসন জানিয়েছে, গত মাসে মাঝ সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিকল হয়ে যায় বয়স্ক ট্যাংকার দুটি। এখনো পর্যন্ত সেগুলো থেকে তেল অন্য জাহাজে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়নি, ফলে ক্রমাগত তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ছে।
তেল ছড়িয়ে পড়ার ফলে জলজ প্রাণী ও উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্রে বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন>>
- বন্ধ হলো ইউক্রেন হয়ে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ
- কাজাখস্তানে প্লেন বিধ্বস্ত, ক্ষমা চাইলেন পুতিন
- ইউক্রেনকে ‘ধ্বংস’ করার হুমকি পুতিনের
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি বড় স্বেচ্ছাসেবক দল ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছে। তারা কীভাবে সমুদ্র থেকে তেল পরিষ্কার করা যায়, তা পর্যালোচনা করছে।
রাশিয়ার গণমাধ্যম জানায়, প্রায় ১০ হাজার মানুষ তেল দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জলজ প্রাণীদের উদ্ধার ও সমুদ্র সৈকত পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এরই মধ্যে সমুদ্র সৈকত থেকে ৭৩ হাজার টন বালি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় দুই লাখ টন বালিতে তেল মিশে গেছে।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, একুশ শতকের মধ্যে কৃষ্ণসাগরে এমন বড় ধরনের বিপর্যয় আর ঘটেনি। তারা দাবি করেছে, পুরোনো ও অকার্যকর জাহাজ ব্যবহারের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এই পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা না হলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
কেএএ/