ইসরায়েলে গেলো ১৬ হাজার ভারতীয় শ্রমিক, কাজ করবে ফিলিস্তিনিদের জায়গায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসরায়েলে নির্মাণ শ্রমিকের ঘাটতি পূরণ করছে ভারতীয়রা। প্রতীকী ছবি: ফ্রিপিক

ইসরায়েলের বীর ইয়াকভ শহরের একটি নির্মাণ সাইটে কাজ করছেন রাজু নিশাদ। সুরক্ষা বেল্ট, হেলমেট ও বুট পরে তিনি বিল্ডিংয়ের একটি অংশ তৈরি করছেন। নিশাদের মতো আরও অনেক ভারতীয় শ্রমিক এখন ইসরায়েলের নির্মাণ খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি শ্রমিকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। এতে দেশটির নির্মাণ খাতে যে শূন্যতা দেখা দেয়, সেটাই পূরণ করছেন ভারতীয় শ্রমিকরা।

উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী নিশাদ জানান, ইসরায়েলে কাজ করে তার দেশের তুলনায় তিনগুণ বেশি আয় করা সম্ভব। তিনি বলেন, আমি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করছি এবং আমার পরিবারের জন্য অর্থপূর্ণ কিছু করার পরিকল্পনা করছি।

আরও পড়ুন>> 

নিশাদ ছাড়াও আরও অনেক ভারতীয় শ্রমিক এরই মধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। গত এক বছরে প্রায় ১৬ হাজার ভারতীয় শ্রমিক ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন এবং আরও শ্রমিক পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে।

ইসরায়েলের নির্মাণ খাতে আগে ফিলিস্তিনি শ্রমিকরা প্রধান ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে তাদের স্থান দখল করছে ভারতীয় শ্রমিকরা। মূলত ভারতে কর্মসংস্থানের ঘাটতি এবং ইসরায়েলের উচ্চ আয়ের সম্ভাবনা ভারতীয় শ্রমিকদের আকর্ষণ করছে।

দিল্লিভিত্তিক ডায়নামিক স্টাফিং সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান সামির খোসলা বলেন, আমরা এরই মধ্যে সাড়ে তিন হাজার ভারতীয় শ্রমিক পাঠিয়েছি এবং আরও ১০ হাজার শ্রমিক পাঠানোর পরিকল্পনা করছি।

ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, যুদ্ধ-পূর্ব সময়ে দেশটির নির্মাণ খাতে অন্তত ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি শ্রমিক কাজ করতেন। বর্তমানে সেখানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে নির্মাণ কার্যক্রম যুদ্ধ-পূর্ব স্তরের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম। এতে ভবিষ্যতে নতুন বাসস্থানের সরবরাহে বিলম্ব হতে পারে। ইসরায়েলের জনসংখ্যা প্রতি বছর দুই শতাংশ করে বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে গৃহায়ন সংকট সৃষ্টি করতে পারে।

ভারতীয় শ্রমিকরা এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ইসরায়েলের নির্মাণ শিল্পে পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফেরাতে আরও সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: এএফপি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।