সিরিয়ায় নির্বাচন আয়োজনে চার বছর পর্যন্ত লাগতে পারে: আল-শারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০২ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি ওরফে আহমেদ আল-শারা/ ফাইল ছবি

সিরিয়ায় সাধারণ নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে আরও চার বছর সময় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির নতুন প্রশাসনের প্রধান আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি ওরফে আহমেদ আল-শারা। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল আল-অ্যারাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।

বাশার আল-আসাদের স্বৈরশাসনের পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া স্বশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আহমেদ আল-শারা। সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ পরিবারের কয়েক দশকের শাসন ও ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান আন্দোলনে দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহীগোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেছিলেন তিনি।

আল-অ্যারাবিয়ার সাক্ষাতকারে আল-শারা বলেন, সিরিয়ায় নতুন একটি সংবিধানের খসড়া তৈরিতে তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর দেশে আমূল পরিবর্তন আনতে আরও প্রায় এক বছর সময় লেগে যাবে। তিনি আরও জানান, জাতীয় সংলাপ সম্মেলন আহ্বান করে এইচটিএসকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে।

বর্তমান সিরিয়ার পররাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে আল-শারা বলেন, দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ চলাকালীন আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া ও তারা আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে। তবে দেশটির সঙ্গে সিরিয়ার কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে। আমাদের এখানে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক অভিন্ন স্বার্থে কাজ করা উচিত। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট (নির্বাচিত) ডোনাল্ড ট্রাম্প নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি।

আহমেদ আল-শারা ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের একটি দল চলতি মাসে দামেস্ক সফর করেছেন। ওই সময় তারা এইচটিএসের এই নেতাকে বাস্তববাদী আখ্যা দেন। একই সঙ্গে আল-শারার মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করে ওয়াশিংটন যে ঘোষণা দিয়েছিল, সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানায় মার্কিন প্রতিনিধিদল।

সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।