‘পরিবেশবান্ধব’ প্লাস্টিক আবিষ্কার, মিশে যাবে সমুদ্রের পানিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩০ পিএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ছবি: এএফপি (ফাইল)

ফুড প্যাকেজিং থেকে শুরু করে জুসের বোতল সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে প্লাস্টিক। অর্থাৎ একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ বিষয় হয়ে ওঠেছে।

তবে এটা প্রকৃতি ও পরিবেশের জন্য অনেক বড় ইস্যু। প্রত্যেক বছর মিলিয়ন মিলিয়ন টন প্লাস্টিক পানিতে গিয়ে মিশে। যার অধিকাংশই বায়োডিগ্রেডেবল নয়। অর্থাৎ কাগজ বা খাবারের মতো স্বাভাবিকভাবে একসময় পচে মাটির সঙ্গে মিশে যায় না, বরং শত শত বছর ধরে পরিবেশে টিকে থাকতে সক্ষম।

তাছাড়া যখন প্লাস্টিকের বড় টুকরো যেমন পানির বোতল ভেঙ্গে যায় তখন তা অনেক ছোট ছোট কণায় পরিণত হতে পারে, যাকে বলা হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক। এগুলো সহজেই বন্যপ্রাণীর পেটে চলে যেতে পারে।

বিজ্ঞানী ও উৎপাদনকারীরা প্রচলিত প্লাস্টিকের পরিবেশগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ এমন বিকল্প খুঁজছেন।

এমন পরিস্থিতিতে জাপানের গবেষকরা বলছেন যে তারা এখন এমন উপাদানের একটি সংস্করণ তৈরি করেছেন, যা সমুদ্রে সম্পূর্ণরূপে মিশে যাবে।

বেশ কিছু পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক থাকলেও সেগুলো সমুদ্রের পানিতে সহজে মিশে যায় না। আসলে কিছু প্লাস্টিক বর্জ্য আছে যা একেবারে ভেঙে যেতে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় নিতে পারে।

সমস্যা সমাধানের জন্য জাপানের রিকেন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এমন একটি প্লাস্টিক তৈরি করার জন্য কাজ করেছেন যা শক্তিশালী থাকবে কিন্তু মাটি ও সমুদ্রের পানিতে সম্পূর্ণভাবে মিশে যাবে। যা কোনো মাইক্রোপ্লাস্টিকও রেখে যাবে না।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, লবণপানিতে রাখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নতুন প্লাস্টিক ভাঙতে শুরু করে।

মাটিতে ফেলা হলে নতুন প্লাস্টিকের শীটগুলো ১০ দিনের মধ্যে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ও সারের মতো একটি রাসায়নিক সরবরাহ করে, যা মাটিকে উর্বর রাখতে সহায়তা করে।

এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বিজ্ঞানী তাকুজো আইদা জানিয়েচছেন, নতুন উপাদান দিয়ে আমরা এমন এক ধরনের প্লাস্টিক বানিয়েছি, যা শক্তিশালী, স্থিতিশীল, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও নানা কাজে ব্যবহারের উপযোগী। এটি কোনো মাইক্রোপ্লাস্টিকও তৈরি করে না।

সূত্র: বিবিসি

এমএসএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।