সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের ‘অতর্কিত হামলায়’ ১৪ নিরাপত্তা সদস্য নিহত
সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর অতর্কিত হামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ সদস্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী-নেতৃত্বাধীন নতুন কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী তারতুস শহরের কাছে এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী রাজধানী দামেস্কের কাছে অবস্থিত সাইদনায়া কারাগারে সম্পৃক্ত এক সাবেক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, সংঘর্ষে তিন বিদ্রোহীও নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে।
আরও পড়ুন>>
এদিকে, হোমস শহরে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেছে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ। সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আলাওয়ি সম্প্রদায়ের একটি পবিত্র স্থানে হামলার একটি ভিডিও প্রকাশের পর এ অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিডিওটি পুরোনো এবং এটি গত নভেম্বরের শেষের দিকে আলেপ্পোর বিদ্রোহীদের হামলার সময়কার। তবে সহিংসতার জন্য দায়ী গ্রুপগুলো শনাক্ত করা যায়নি।
এসওএইচআর জানিয়েছে, হোমসে এক বিক্ষোভকারী নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারতুস, লাতাকিয়া এবং আসাদের নিজ শহর কারদাহাতেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
আলাওয়ি সম্প্রদায় সিরিয়ার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, যেখান থেকে আসাদ পরিবারের উৎপত্তি। আসাদ সরকারের আমলে বেশিরভাগ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও এই সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন।
সম্প্রতি সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গত ৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। অবসান হয় আসাদ পরিবারের টানা ৫৩ বছরের শাসনের।
স্বৈরশাসকের পতনের পর সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আশ্বাস দিয়েছে, দেশটিতে সব নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/