সুদানে সংঘাত-অবরোধে নিহত প্রায় ৮০০, জাতিসংঘের উদ্বেগ
সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের এল-ফাশারে চলমান সংঘাত ও অবরোধে গত মে মাস থেকে ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক আরএসএফ (র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস)-কে শহরের অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে, এল-ফাশারের পরিস্থিতি দিন দিন আরও বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। সেখানে গত মে মাস থেকে অন্তত ৭৮২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ১ হাজার ১৪৩ জন আহত হয়েছেন। র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস নিয়মিত গোলাবর্ষণ করছে এবং সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) বারবার বিমান হামলা চালাচ্ছে।
জাতিসংঘের মতে, বেসামরিক এলাকায় এসব হামলা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আরও পড়ুন>>
- সুদানে ২ দিনে সংঘর্ষে ৭০ জনের বেশি নিহত
- সুদানে তীব্র অনাহারের ঝুঁকিতে ৫০ লাখ মানুষ
- সুদান ছেড়ে পালিয়েছে এক লাখ মানুষ: জাতিসংঘ
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বাধীন সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফ প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে প্রায় ১৮ মাস ধরে সংঘাত চলছে। এই যুদ্ধের ফলে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছেন।
এল-ফাশার দারফুর অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন হিসেবে পরিচিত। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এখানে আরএসএফ বিজয়ী হলে জাতিগত প্রতিশোধমূলক সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে, যেমনটি গত বছর পশ্চিম দারফুরে দেখা গিয়েছিল।
গত সপ্তাহে আরএসএফের গোলাবর্ষণে এল-ফাশারের প্রধান হাসপাতালে নয়জন নিহত এবং ২০ জন আহত হন। পরে শহরের কেন্দ্রে ড্রোন হামলায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।
এল-ফাশারের কাছাকাছি জামজাম শরণার্থী শিবিরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষে ভুগছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, এল-ফাশার বা জামজামে বড় আকারের হামলা হলে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/