সিরিয়াকে ক্রমবর্ধমান হুমকি হিসেবে দেখছে ইসরায়েল
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যপন্থী বক্তব্যের পরও সিরিয়া থেকে হুমকির আশংকা অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ওই হুমকি মোকাবিলায় সামরিক পদক্ষেপ জারি রেখেছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রতিরক্ষা বাজেট মুল্যায়নকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে কাটজ বলেন, আমাদের তাৎক্ষণিক ঝুঁকিগুলো এখনো চলে যায়নি ও সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলী হুমকির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও বিদ্রোহী নেতারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গী মধ্যপন্থী বলে দাবী করছেন।
এর আগে বর্তমানে সিরিয়ার কার্যত নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি ওরফে আহমাদ আল-শারা শনিবার বলেছিলেন, ইসরায়েল সিরিয়ায় তাদের হামলার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মিথ্যা অজুহাত ব্যবহার করছে। যেহেতু দেশটি এখন পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেছে, তাই তিনি নতুন কোনো সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নন।
জোলানি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই গোষ্ঠীটিই গত সপ্তাহে আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে, যার মাধ্যমে এই পরিবারের পাঁচ দশকের কঠোর শাসনের অবসান ঘটে।
আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইসরায়েল ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর তৈরি করা সিরিয়ার ভেতর একটি বেসামরিক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তারা দামেস্কের নিকটবর্তী কৌশলগত মাউন্ট হারমনের সিরীয় অংশেও প্রবেশ করেছে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার একটি পরিত্যক্ত সামরিক পোস্ট-এর দখল নিয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে যে তারা সেখানে অবস্থানের কোনো ইচ্ছা পোষণ করে না ও সিরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশকে তারা সীমিত ও অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করেছে। কিন্তু, একই সঙ্গে তারা সিরিয়ার কৌশলগত অস্ত্র মজুদের ওপর শতাধিক হামলাও চালিয়েছে। তাছাড়া অধিকৃত গোলান মালভূমি দখলেও নিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল বলেছে, তারা কৌশলগত অস্ত্র ও সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করছে, যাতে সেগুলো আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুণো ব্যবহার করতে না পারে। এদের মধ্যে কিছু গোষ্ঠী আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত আন্দোলন থেকে গড়ে উঠেছে।
এদিকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ ইসরায়েলের গোলান মালভূমিতে বাফার জোন দখলের নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
এসএএইচ