ফ্রান্সের মায়োত্তে অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, কয়েকশ প্রাণহানির শঙ্কা
ফ্রান্সের ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল মায়োত্তেতে ঘূর্ণিঝড় চিডোর আঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর কারণে কয়েকশ’, এমনকি হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনো দুর্গত এলাকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন এবং জীবিতদের সন্ধানে কাজ করছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার (১৪০ মাইল)। এতে দরিদ্র সম্প্রদায় এবং অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকা মানুষদের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি।
মায়োত্তে অঞ্চলে মোট ৩ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের একটি বড় অংশই এখন খাদ্য, পানি এবং আশ্রয়ের সংকটে ভুগছে।
আরও পড়ুন>>
- ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন মান-ই, বিপর্যয়ের সতর্কতা
- ঘূর্ণিঝড় ট্রামি: ফিলিপাইনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৬, নিখোঁজ বহু
মামুদজু শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনদিন ধরে পানি নেই। আমরা বেঁচে থাকার ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছি। জানি না কখন পানি ফিরে আসবে।
অন্য এক বাসিন্দা জন ব্যালোজ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় আমি মনে করেছিলাম, আমার জীবন শেষ হয়ে যাবে। বাতাসের প্রচণ্ড গতি দেখে আমি চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন করছিলাম।
মোহামেদ ইসমাইল নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, এটি যেন পারমাণবিক যুদ্ধের পরবর্তী পরিস্থিতি। পুরো একটি পাড়া ধ্বংস হয়ে গেছে।
মায়োত্তের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং অনিবন্ধিত অভিবাসীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অস্থায়ী ঘরবাড়ি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ফরাসি অর্থ সহায়তার ওপর নির্ভরশীল এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে লড়াই করছে।
মায়োত্তের প্রায় ৭৫% মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন এবং বেকারত্বের হার এক-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি।
ঝড়ের পর মায়োত্তের জনগণের প্রতি শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/