সিরিয়ার ১৮ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
গোলান মালভূমির অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী। ছবি: ইপিএ/বিবিসি

বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় কুনেইত্রা প্রদেশের কৌশলগত অঞ্চলগুলোতে নিজেদের দখলদারত্ব বাড়িয়েছে ইসরায়েল। আল-জাজিরার ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা সানাদ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা হেরমনের পাহাড়সহ আশপাশের গ্রাম ও শহরগুলোতে প্রবেশ করেছে।

জানা গেছে, সিরিয়ার ভেতরে প্রায় ১৮ কিলোমিটার (১১ মাইল) গভীর পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েল। তাদের সেনারা দামেস্কের কাছাকাছিও পৌঁছে গেছে। তবে দখল করা এলাকাগুলোতে এখনো কোনো স্থায়ী সামরিক ঘাঁটির উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি।

হেরমনের পাহাড়কে কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি দক্ষিণ সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা এবং অধিকৃত গোলান মালভূমি পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়। এই অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

আরও পড়ুন>>

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, তাদের এই পদক্ষেপ সাময়িক এবং এর উদ্দেশ্য হলো অধিকৃত গোলান মালভূমির পাশের এলাকাগুলোকে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি থেকে রক্ষা করা।

এর আগে, গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পরপরই সিরিয়া নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির একটি বড় অংশ দখল করে ইসরায়েল। অঞ্চলটির পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে থাকারও নির্দেশ দেয়ে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, গোলান মালভূমির বাফার জোনে প্রবেশ করেছে তাদের বাহিনী। ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী অঞ্চলটিতে এই বাফার জোন ঘোষণা করা হয়েছিল।

নেতানিয়াহু বলেন, পুরোনো ওই চুক্তি কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। সিরীয় সেনারা তাদের অবস্থান ছেড়ে চলে যাওয়ায় আমরা বাধ্য হয়েছি এমন পদক্ষেপ নিতে। তিনি বলেন, আমাদের সীমানায় কোনো শত্রু শক্তির উপস্থিতি আমরা বরদাশত করবো না।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল গোলান মালভূমির একটি অংশ দখল করে এবং পরে তা সংযুক্ত করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি বিশ্ব এটিকে অবৈধ দখলকৃত ভূমি হিসেবেই বিবেচনা করে।

সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।