দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন বাশার আল-আসাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়া একটি সরকারি ভবনে বাশার আল-আসাদের ছবির ভাঙা ফ্রেম। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দেশটির জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়েছে, একটি প্লেনে করে দামেস্ক ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার। তবে তার গন্তব্য কোথায়, তা এখনো জানা যায়নি।

এর আগে, দামেস্কে প্রবেশের কথা জানায় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের বাহিনী রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

তবে সেসময় রাজধানীতে সেনা মোতায়েনের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আরও পড়ুন>> 

বিদ্রোহীরা দামেস্কের কাছে সেডনায়া কারাগার থেকে সব বন্দি মুক্ত করার দাবি করেছে। এই কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্রোহীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেডনায়া কারাগারে স্বৈরশাসনের যুগের অবসান হয়েছে।

এর কয়েক ঘণ্টা আগেই বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে, মাত্র একদিনের লড়াইয়ের পর হোমসের মূল শহরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা।

২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে প্রথম যে শহরটি বিদ্রোহে জ্বলে উঠেছিল, সেই হোমসকে বিপ্লবের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুদিন ধরে বিদ্রোহীরা শহরটি পুনর্দখলের জন্য অভিযান চালায়। অবশেষে আজ পুরো হোমস শহর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, রয়টার্স বলেছে, দামেস্কের কেন্দ্রে গুলির শব্দ শোনা গেছে। রোববার স্থানীয় দুই বাসিন্দা এ কথা জানিয়েছেন। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে গুলির উৎস কী তা স্পষ্ট নয়।

এই অভিযানের আগে সাধারণ সিরীয় জনগণের মধ্যে আসাদ সরকারের পতন নিয়ে তেমন কোনো আশা ছিল না। তবে সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়া, রাশিয়ার সীমিত সহায়তা, ইরানের নিজস্ব সংকট এবং হিজবুল্লাহর মাধ্যমে দক্ষিণ লেবাননে ব্যস্ততা—এসবই বিদ্রোহীদের পক্ষে সুবিধা তৈরি করে। এর মাধ্যমে আসাদের দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান হয়ে ওঠে কেবলই সময়ের অপেক্ষা।

ইরাকে পালাচ্ছে সিরীয় সেনারা

আল কাইম সীমান্ত দিয়ে আসাদ বাহিনীর হাজার হাজার সেনা ইরাকে প্রবেশ করছে বলে জানা গেছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইরাকি নাগরিকরা এমন ক্লান্ত সৈন্যদের খাদ্য সরবরাহ করছেন।

জাতিসংঘের উদ্বেগ

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, সিরিয়ার দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি আমরা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। সব পক্ষকে অবশ্যই বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

কেএএ/

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।