যুদ্ধের জন্য রেকর্ড বাজেট বরাদ্দ দিলেন পুতিন
যুদ্ধ আরও বেগবান করতে রেকর্ড পরিমাণ সামরিক বাজেট ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০২৫ সালের মোট বাজেটের এক তৃতীয়াংশ বরাদ্দ সামরিক বাজেটের জন্য রেখেছেন তিনি, যা এরই মধ্যে রাশিয়ার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অনুমোদিত হয়েছে।
রোববার (১ নভেম্বর) প্রকাশিত বাজেটে দেখা যায়, জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য ১২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে পুতিনের সরকার, যা মোট ব্যয়ের ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। এ বাজেট গত বছরের চেয়ে প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার বেশি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে রাশিয়া সব থেকে বড় সংঘাতের মুখোমুখি হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে। দুই বছরেরও ধরা চলা এই যুদ্ধে দুপক্ষের গোলাগুলি, ক্ষেপণাস্ত্র, বিভিন্ন ধরনের বোমা, ট্যাঙ্কের মতো যুদ্ধাস্ত্র ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি সেনার খাবার, ওষুধ, পোশাকের জন্য বিপুল খরচ রয়েছে। আধুনিক সময়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তি খাতে ব্যয়ও নেহাত কম নয়।
বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ব্যয় সাপেক্ষ লম্বা যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট বিপুল পরিমাণে বাড়িয়েছে পুতিন সরকার। এমনিতে সব দিক দিয়েই যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের তুলনায় অনেকটাই বেশি শক্তিশালী রাশিয়া। অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও সেনার সংখ্যাতেও তারা অনেক এগিয়ে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। পরের বছরে রাশিয়ার সামরিক ব্যয় এক লাফে ২৪ শতাংশ বেড়ে ১০ হাজা ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার অস্ত্র, গোলাবারুদ ও লোকবলের অভাব নেই রাশিয়ার। তবে যুদ্ধের যত দিন গড়াচ্ছে, অর্থনীতি ও জনসংখ্যার ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে পর্যাপ্ত সেনা এবং যুদ্ধের সরঞ্জামাদির জন্য আবারও বাজেটের বিশাল অংশ সামরিক খাতে দিতে হচ্ছে দেশটিকে।
দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের চাপ পড়ছে রাশিয়ার অর্থনীতি ও জনসংখ্যার উপর। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে। অর্থনীতির লাগাম টানতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত অক্টোবরে সুদহার ২১ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যেই রেকর্ড বাজেট ঘোষণায় নিজেদের অবস্থান বুঝিয়ে দিলো মস্কো। পুতিনের স্পষ্ট বার্তা, যে কোনও শর্তে ইউক্রেনকে শায়েস্তা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা।
সূত্র: সিএনএন
এসএএইচ