প্রশ্ন কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে শুরু হয়েছে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই মধ্যেই রোববার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে ভারতের পরিস্থিতির তুলনা করলেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতি। স্বাভাবিকভাবেই এই তুলনায় জন্য বিজেপি নেতাদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

জম্মুতে এক দলীয় সভায় কর্মীদের উদ্দেশে মেহবুবা মুফতি বলেন, হিন্দুরা বাংলাদেশে নিপীড়নের মুখে পড়েছে। কিন্তু, আমরা যদি এখানে (ভারতে) সংখ্যালঘুদের সঙ্গে একই কাজ করি, তাহলে দুই দেশের পার্থক্য কোথায় রইলো?

বাংলাদেশের পরিস্থিতির সঙ্গে ভারতের তুলনা করায়, মেহবুবা মুফতির মন্তব্য ‘দেশবিরোধী’ বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

রাজস্থানের আজমির শরিফের সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতির দরগা নিয়ে বিতর্কের কথা টেনে আনেন মেহবুবা। তিনি বলেন, আজমির শরিফ দরগায় সব ধর্মের মানুষ প্রার্থনা করেন, এটা ভ্রাতৃত্বের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখন তারা মন্দিরের সন্ধানের জন্য এটি খনন করার চেষ্টা করছে।

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে মুঘল আমলের শাহি জামে মসজিদের স্থানে মন্দির ছিল- এমন দাবি নিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি গোষ্ঠী আদালতে যান। সম্প্রতি এমন প্রেক্ষাপটে সেখানে স্থানীয়দের ওপর পুলিশ গুলি চালালে ৬ জন মুসলিম নিহত হন।

এ ঘটনাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে জম্মু-কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ নেত্রী মেহবুবা।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে অপপ্রচার চালাচ্ছে গণমাধ্যমগুলো। সেই অপপ্রচারে ইন্ধন জোগাচ্ছেন দেশটির রাজনীতিবিদরা। 

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।