সিরিয়ায় সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ১৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়ছে বহু সিরীয় পরিবার। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো প্রদেশে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৩২ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানিয়েছে। সংঘর্ষের পর হায়’এত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের মিত্র বাহিনী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্তত ১০টি এলাকা দখল করেছে বলে জানানো হয়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৬৫ জন এইচটিএসের সদস্য, ১৮ জন মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধা এবং ৪৯ জন সেনা রয়েছেন। এছাড়া বিদ্রোহীরা বেশ কিছু অস্ত্রাগার, সাঁজোয়া যান ও ভারী অস্ত্র দখল করেছে।

সিরীয় সরকারপন্থি বার্তা সংস্থা সানা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাঝারি ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা গ্রাম, শহর এবং সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে। তবে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন>>

সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় সিরীয় সেনারা শত শত গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে শিশুসহ বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

এইচটিএসের যোদ্ধারা আলেপ্পো শহরের উপকণ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার অগ্রসর হয়ে শিয়া অধ্যুষিত নুবল ও জাহরা শহরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এ এলাকায় ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এছাড়া, আল-নায়রাব বিমানবন্দরেও হামলা চালিয়েছে এইচটিএস।

এই সংঘর্ষ সিরিয়ার দক্ষিণ ইদলিবে সাম্প্রতিক রুশ ও সিরীয় বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া এবং সিরীয় বাহিনীর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য এইচটিএসের পূর্ব পরিকল্পিত পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আলেপ্পোর এই সহিংসতা থেকে বাঁচতে শত শত সিরীয় পরিবার তুরস্ক সীমান্তের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, এইচটিএস গোষ্ঠীটি যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত। অতীতে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকলেও বর্তমানে তারা নিজেদের একটি স্থানীয় সংগঠন হিসেবে উপস্থাপন করছে। এটি উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।