কলকাতা
পি কে হালদারের পরবর্তী শুনানি ২৯ নভেম্বর, জামিনের আশা আইনজীবীর
কলকাতার নগর আদালতে তোলা হলো বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের। বুধবার (২৭ নভেম্বর) কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১-এর বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি ওঠে। আসামিপক্ষের আইনজীবী মিলন মুখার্জি উপস্থিত না থাকায় আদালত আগামী ২৯ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগেই পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, ইমাম হোসেন এবং শর্মী হালদার ওরফে আমানা সুলতানের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। এদিন বাকি অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না।
তিনি বলেন, আজ শুনানি হয়নি। আগামী শুক্রবার বিকেলে ফের শুনানির দিন ধার্য করেছেন মহামান্য আদালত। আমরা আশাবাদী, আগামী দিনে জামিন হতে পারে। আজ আমরা জামিনের আবেদন করেছি আদালতের কাছে।
আরও পড়ুন>>
- কলকাতার আদালতে জামিন পেলেন পি কে হালদারের ৩ সহযোগী
- ট্রায়াল ছাড়া পি কে হালদারকে বন্দি রাখায় আপত্তি আইনজীবীর
- ভারতে পি কে হালদারের বিচারে যে কারণে বিলম্ব
অন্যদিকে, ইডি পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পি কে হালদারের পক্ষের প্রধান আইনজীবী আজ আদালতে আসতে পারেননি। আগামী শুক্রবার মামলার শুনানি হবে। এরই মধ্যে তিনজন জামিনে আছেন। বাকি তিনজনের জন্য জামিনের আবেদন জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পি কে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগী— তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেফতার করা হয়।
বর্তমানে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন, ২০০২-এর আওতায় মামলার শুনানি চলছে।
ডিডি/কেএএ/