অস্থিরতার মধ্য দিয়েই পশ্চিমবঙ্গের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচন শুরু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলার ৬ আসনে উপনির্বাচন শুরু হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) টানটান উত্তেজনার মধ্যে উত্তরবঙ্গের ২টি ও দক্ষিণবঙ্গের ৪টি আসনে সকাল ৭ থেকে ভোট শুরু হয়েছে। অশান্তি এড়াতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহাড়ায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভোকেন্দ্রগুলো।
রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর সামনে আসতে শুরু করে। নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৩ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্ৰেসের দিকে। খবর পেয়ে ওই বুথে পৌঁছায় নৈহাটির বিজেপির প্রার্থী রূপক মিত্র। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আমার এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেয়নি।আমি এসে তাকে বুথের ভেতরে বসাই। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি জানাবো। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভোট শুরু হতেই উত্তেজনা শুরু হয় হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে। হাড়োয়া ২০০ নম্বর বুথে দরজার সামনে ইভিএম রাখা নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টের দ্বন্দ্ব বাধে। পরে পরিস্থিতি সামাল দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ছুটে আসেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
মেদিনীপুরে উপনির্বাচন শুরুর আগেই পুলিশের বিরুদ্ধে ধরপাকড়ের অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী পুলিশের বিরুদ্ধে বেআইনি ধরপাকড়ের অভিযোগে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে বাইক বাহিনী। এমন অভিযোগ করে রাজ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
এদিকে কুচবিহার কেন্দ্রের সাবেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমানিককে হাড়িয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া। কুচবিহারে সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন নিশীথ প্রামানিক। রাজ্যের ৬ কেন্দ্র মাদারিহাট, সিতাই, মেদিনীপুর, তালডাংরা, নৈহাটি, হাড়োয়া উপনির্বাচনে ১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিডি/টিটিএন