ট্রাম্পের জয়ে হতাশ, দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন অনেক মার্কিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০২৪
ডোনাল্ড ট্রাম্প/ ফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে অনেক মার্কিন নাগরিকই বেশ হতাশ হয়েছেন। এরই মধ্যে বহু মার্কিন নাগরিক দেশ ছাড়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তারা অন্য কোনো দেশে চলে যেতে চাচ্ছেন। খবর রয়টার্সের।

গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ‍যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর থেকে কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার দেশগুলোতে পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে গুগল সার্চে লোকজনের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। গুগল সার্চে দেখা গেছে প্রায় ১২৭০ শতাংশ মানুষ কানাডা যাওয়ার তথ্য অনুসন্ধান করেছেন। এছাড়া নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুগল সার্চ করেছেন ২০০০ শতাংশ মানুষ এবং অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৮২০ শতাংশ মানুষ গুগল অনুসন্ধান করেন।

গুগলের তথ্যানুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত এই তিন দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই গুগলে অনুসন্ধান করেছে।

তবে গুগল অনুসন্ধ্যানে প্রকৃত তথ্য পাওয়া না গেলেও নিউজিল্যান্ডের অভিবাসী ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, প্রায় ২৫ হাজার আমেরিকান ৭ নভেম্বর পর্যন্ত তাদের সাইট ভিজিট করেছে। যেখানে গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫০০ জন।

কিছু অভিবাসন আইনজীবীও একই ধরনের কথা বলছেন। কানাডার প্রাচীনতম ইমিগ্রেশন ল ফার্ম গ্রিন অ্যান্ড স্পিগেলের ব্যবস্থাপনা অংশীদার ইভান গ্রিন বলেন, তারা প্রতি আধা ঘণ্টায় একটি করে নতুন মেইল পাচ্ছে।

২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় পেয়েছিলেন তখনও ঠিক একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এডিসন রিসার্চ এক্সিট পোলের তথ্যানুসারে, এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় মার্কিন ভোটারদের এক তৃতীয়াংশ মনে করেন গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে।

এছাড় অনেক আমেরিকান এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে তার শাসনামলে জাতি, লিঙ্গ, শিশুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হয় এবং প্রজনন অধিকারের মতো বিষয়গুলোতে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে একটি বড় দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে।

টিটিএন

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।