যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
সব অঙ্গরাজ্যে ভোট শেষ, এখন আনুষ্ঠানিক ফলাফলের অপেক্ষা
আলাস্কা ও হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাধ্যমে চলতি বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যেই জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বেশিরভাগ দোদুল্যমান রাজ্যেই এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি, এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও পেনসিলভানিয়ায় বেশিরভাগ ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
এছাড়া নেভাদা, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, মিশিগান, মিনেসোটা, আলাস্কায়ও এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে গত নির্বাচনে সুবিধা করতে না পারলেও এবার দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া যেসব গুরুত্বপূর্ণ সুইং রাজ্যের ফলাফল বাকি সেখানেও প্রাথমিক পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন।
এগুলো এমন কিছু এলাকা যেখানে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে হ্যারিস বা ট্রাম্প যে কেউই জিততে পারেন আর সম্ভবত এগুলোই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করবে।
অপরদিকে মিশিগান রাজ্যে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। তবে সেখানে এ পর্যন্ত মাত্র ৩২ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এছাড়া মেইন রাজ্যেও এগিয়ে আছেন কমলা। তবে সেখানে ইলেকটোরাল ভোট মাত্র তিনটি।
বার্তা সংস্থা এপির পরিসংখ্যান বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের দল এরই মধ্যে ২৪৭টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করেছে। আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের ঝুড়িতে যাচ্ছে ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট। নির্বাচনে জেতার জন্য প্রয়োজন ২৭০ ভোট।
নর্থ ক্যারোলাইনায় বড় জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোটে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। ওই অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকানদের জয় গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা ঐতিহাসিক ভোটের ধারাকে ধরে রেখেছে।
ট্রাম্প ২০১৬ সালে সেখানে তিন দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং ২০২০ সালে এক দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিসেবে ওই রাজ্যে সর্বশেষ ২০০৮ সালে বারাক ওবামা জয়ী হয়েছিলেন। তবে বারাক ওবামা ২০১২ সালে তার পুনর্নির্বাচনের সময় রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির কাছে নর্থ ক্যারোলাইনা হারান।
এদিকে মিশিগানে ডেমোক্র্যাটিক দাতা এবং কৌশলবিদরা বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, তারা খুবই হতাশা বোধ করছেন। অন্যদিকে ফ্লোরিডায় ট্রাম্প শিবিরে ইতোমধ্যেই জয়ের উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে গেছে।
বুথফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে, গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ভোটাররা। এর আগে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়াসহ ‘প্রতিপক্ষ’ দেশগুলো হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
টিটিএন