ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে নিহত ১০, বাড়িঘরে আগুন
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতের পর দেশটির ফ্লোরেস দ্বীপে অবস্থিত ১ হাজার ৭০৩ মিটার উঁচু মাউন্ট লেওটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি পুড়ে যায়।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা বিএনপিবির মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক সংবাদ সম্মেলনে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, এই অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১০ হাজার ২৯৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখনো মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
অগ্নুৎপাতের পর মাউন্ট লেওটোবির সতর্কতা স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি সংস্থা। পাশাপাশি, নিষিদ্ধ অঞ্চলের সীমা সাত কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, ওয়ুলাঙ্গিতাং জেলায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ এই অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলুলেরা, নাওকোটে, হকেং জয়া, ক্লাটানলো, বোরু ও বোরু কেদাং গ্রামের বাসিন্দারা তাদের আতঙ্কের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আগ্নেয়গিরি থেকে ছুটে আসা আগুনে বেশ কয়েকটি কাঠের বাড়ি পুড়ে যায় এবং বেশ কয়েকটি স্থান ছাইয়ে ঢেকে গেছে।
বিএনপিবি সতর্ক করে বলেছে, প্রবল বৃষ্টির কারণে লাভা স্রোতের আশঙ্কা রয়েছে। ছাই থেকে সুরক্ষা পেতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এর অংশ হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ও ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে। গত বছরের ডিসেম্বরে পশ্চিম সুমাত্রার মাউন্ট মারাপির অগ্ন্যুৎপাতে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে সেখানে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট লাভা স্রোতে প্রায় ৬০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/