সৈন্য সংকটে ইসরায়েল, যুদ্ধ চালাতে হিমশিম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৩২ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী। ফাইল ছবি: এএফপি

গাজায় এক বছর ধরে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ সৈন্যরা। এ অবস্থায় দেশটি নতুন সৈন্য সংগ্রহেও সমস্যার মুখে পড়েছে, বিশেষ করে, তারা যখন লেবাননে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে প্রায় তিন লাখ রিজার্ভ সৈন্যকে ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ শতাংশই ৪০ বছরের বেশি বয়সী, যাদের সাধারণত ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে।

ইসরায়েলে পুরুষ ও নারীদের জন্য ১৮ বছর বয়স থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক, যদিও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। দেশটি বর্তমানে গাজায় হামাস এবং লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে একাধিক ফ্রন্টে যুদ্ধ চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন>>

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে ইসরায়েল ৩৬৭ সেনা হারিয়েছে। এছাড়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর লেবাননে অভিযান শুরুর পর থেকে নিহত হয়েছেন ৩৭ ইসরায়েলি সেনা।

এ অবস্থায় ইসরায়েলের রিজার্ভ সৈন্যদের ডিউটির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। অনেক সৈন্য অভিযোগ করেছেন, তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না।

আরিয়েল সেরি-লেভি নামে একজন ইসরায়েলি রিজার্ভ সৈন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, আমরা ডুবে যাচ্ছি। তিনি জানান, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে তাকে চারবার ডাকা হয়েছে। বর্তমানে যুদ্ধ চালানোর পক্ষে যারা আছেন, তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এই ইসরায়েলি সৈন্য। তিনি বলেছেন, আমাদের এই যুদ্ধ শেষ করতে হবে, কারণ আমাদের সৈন্যের অভাব হচ্ছে।

আরেক রিজার্ভ সৈন্য বলেন, ক্লান্তি ও নৈতিক অবসাদের কারণে আমি আমার চাকরি হারিয়েছি।

অনেক ফ্রিল্যান্সার যুদ্ধের কারণে কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। যদিও ইসরায়েলি সরকার রিজার্ভ সৈন্যদের জন্য একটি ন্যূনতম আয়ের গ্যারান্টি দেয়।

সম্প্রতি দুই হাজার রিজার্ভ সৈন্যের স্ত্রীর একটি খোলা চিঠিতে লিখেছেন, যাদের সেবা দিতে হচ্ছে তাদের জন্য চাপ কমানো প্রয়োজন।

এ বছর ২৫০ দিন যুদ্ধ করেছেন ৫২ বছর বয়সী ডেভিড জেনু। তিনি বলেন, এটি দেশের সেবা করার সম্মান এবং আমি যতদিন পারি তা চালিয়ে যাবো। তবে, যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে আমাদের সৈন্যের অভাব রয়েছে।

সৈন্য সংকটে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এখন একটি কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। এটি দেশটির নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: এএফপি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।