ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’
উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আরও পাঁচ রাজ্যে সতর্কতা জারি
আবহবিদরা জানিয়েছেন, উড়িষ্যার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে। আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি।
‘দানা’র আতঙ্কে এখন ত্রস্ত উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ। এই ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা করতে দুই রাজ্যই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি সারছে। কিন্তু ‘দানা’ যে এই দুই রাজ্যেই তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষান্ত হয়ে যাবে, এমনটা নয় বলেই জানিয়েছে ভারতের মৌসম ভবন। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও পাঁচ রাজ্যে পড়বে বলে জানানো হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ‘দানা’র তাণ্ডব চলবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, বিহার ও তামিলনাড়ুতে। এরই মধ্যে বিহারের ১২ জেলায় সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেই ১২ জেলার মধ্যে রয়েছে ভাগলপুর, বাঁকা, জামুই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, জেহানাবাদ, লখিসরাই, নওয়াদা, গয়া, কটিহার, পুর্ণিয়া এবং কিসানগঞ্জ। এই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
ছত্তিসগঢ়ের আট জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ২৫-২৭ অক্টোবর ওই জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ২৫-২৬ অক্টোবর ওই জেলাগুলোতে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে রায়লসীমা অঞ্চলে ‘দানা’র প্রভাবে ভারী বৃষ্টি ও ৩০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৯টি দল মোতায়েন করা হয়েছে।
মৌসম ভবনের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছে, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর ‘দানা’ ধীরে ধীরে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। যার জেরে ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণ ভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তামিলনাড়ুতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সমুদ্রে ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’। অভিমুখ মূলত উত্তর-পশ্চিম দিকে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে। আছড়ে পড়ার সময় গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বাধিক গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এসএএইচ