পর্যটক নেই পুরীতে, কোথায় কোথায় তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এটি অতিপ্রবল না হলেও প্রবল ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার তা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই শক্তিশালী ঝড়।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছাতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উড়িষ্যা এবং তামিলনাড়ুতে সতর্কতা জারি হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আগাম প্রস্তুতি। উড়িষ্যায় দুই শতাধিক ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে। পর্যটক নেই পুরীতে। রাজ্যজুড়ে মোতায়েন হয়েছে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল। ঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে উড়িষ্যার কোন কোন জেলায়? কী বলছে আবহাওয়া অফিস?

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উড়িষ্যার জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব পড়বে ময়ূরভঞ্জ, পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই উপকূলীয় উড়িষ্যায় বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দাপাড়া, পুরী এবং জজপুরে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। অন্য রাজ্য থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক ও পুণ্যার্থীরা এর মধ্যেই পুরী ছেড়েছেন।

বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ, কটক, ভদ্রক এবং বালাসোরে জারি হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। ১৪ জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০ শতাধিক ট্রেন। রাজ্যের ৮শ দুর্যোগ আশ্রয়শিবিরের পাশাপাশি ৫শ অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার আগে সতর্ক দুই রাজ্যের প্রশাসনই। পশ্চিমবঙ্গেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। সৈকত শহর পুরী মঙ্গলবারই পর্যটকশূন্য করা দেওয়া হচ্ছে। এ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন।

সোমবার থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বকখালিসহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তৈরি কন্ট্রোল রুমও। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি এসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘দানা’।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।