হামাস ছিল, থাকবে : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০১ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি/ ছবি: এএফপি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, হামাস ছিল এবং থাকবে। সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইয়াহিয়া না থাকলেও হামাস টিকে থাকবে। খবর বিবিসির।

খামেনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এই মুহূর্তে তাকে হারানোটা হামাসের জন্য অবশ্যই বেদনাদায়ক। এটা তাদের জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু সিনওয়ারের শাহাদাতের কারণে হামাস একেবারেই শেষ হয়ে যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ার প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক উজ্জ্বল মুখ ছিলেন। দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে তিনি অত্যাচারী ও আগ্রাসী শত্রুদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, গত বুধবার পরিচালিত এক অভিযানে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন এবং তার মরদেহ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের পর থেকে এবং গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং শিন বেটের (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) যৌথ অভিযানগুলোর মাধ্যমে সিনওয়ারের চলাচল সীমিত করা হয়। এই তৎপরতার ফলেই তাকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা দক্ষিণ গাজায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে সিনওয়ারও ছিলেন। তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে।

তবে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীকে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাজায় যদি আগ্রাসন বন্ধ না হয়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করা না হলে এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া না হলে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।