দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত চিরতরে বন্ধ করছে উত্তর কোরিয়া
সিউলের সঙ্গে দক্ষিণ সীমান্ত ‘স্থায়ীভাবে বন্ধ ও অবরুদ্ধ’ করার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তারা মার্কিন বাহিনীকেও সতর্ক করেছে, যাতে দুর্ঘটনাবশত কোনো সংঘর্ষ না ঘটে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে পিয়ংইয়ং জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংযোগকারী সড়ক ও রেলপথগুলো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেবে।
এটিকে উত্তর কোরিয়া ‘বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ দীর্ঘদিন ধরে চলমান প্রক্রিয়ারই একটি অংশ।
আরও পড়ুন>>
- পারমাণবিক অস্ত্র বাড়ানোর ঘোষণা কিমের
- ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধাগারের ছবি প্রকাশ করলো উত্তর কোরিয়া
- উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র দেবে রাশিয়া, গভীর উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র
বিগত কয়েক বছরে দুই কোরিয়ার সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। পিয়ংইয়ং পুনর্মিলনের জন্য কাজ করা সংস্থাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে তাদের ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপটি দেশটির ১৯৯১ সালে স্বাক্ষরিত একটি আন্তঃকোরীয় চুক্তি বাতিলের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে, যা দেশটির নেতা কিম জং উনের নেতৃত্বে দক্ষিণ কোরিয়াকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংজ্ঞায়িত করার একটি প্রচেষ্টা।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত সড়ক ও রেলপথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং সীমান্ত এলাকাগুলোতে শক্তিশালী প্রতিরক্ষামূলক কাঠামো স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। এছাড়াও মার্কিন বাহিনীকে ফোনে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে, যাতে এই সীমান্ত রক্ষণাবেক্ষণের প্রকল্প নিয়ে কোনো ভুল বোঝাবুঝি বা সংঘর্ষ না ঘটে।
দুই কোরিয়ার মধ্যকার সীমান্তটি বিশ্বের অন্যতম সামরিকীকৃত এলাকা হিসেবে পরিচিত। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া ওই এলাকাটিকে দুর্গম অঞ্চলে পরিণত করতে ল্যান্ড মাইন বসানো ও দেওয়াল নির্মাণের কাজ করে চলেছে।
জুন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, সীমান্তের অংশগুলোতে মাইন বিস্ফোরণে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছে। সে সময় দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া দুই কোরিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ডংহাই লাইন রেলপথের অংশ ধ্বংস করার লক্ষণও দেখা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক বিবৃতি আসলে ওই কাজের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি মাত্র।
সূত্র: এএফপি
কেএএ/