গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ আরও ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থামছেই না। মধ্য গাজায় ইসরায়েলের হামলায় পাঁচ শিশু এবং দুই নারীসহ কমপক্ষে আরও ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অঞ্চলটি খালি করার জন্য কাজ করছে। সেখানে বেসামরিকরা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। খবর আল জাজিরার।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত এক বছরে গাজায় ৪১ হাজার ৯৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৭ হাজার ৫৯০ জন। হতাহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লেবাননকে সতর্ক করেছেন যে, এটি ‘গাজার মতো ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হতে পারে’। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, সোমবার সারাদেশে ৩৬ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জন আহত হয়েছে।
এর আগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘নিঃশর্ত’ মুক্তি চেয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও এর জেরে গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর বর্ষপূর্তির আগের দিন এক ভিডিও বার্তায় তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি ও গোটা অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
- আরও পড়ুন:
- এক বছরের সংঘাতে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪১৮৭০
- ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘নিঃশর্ত’ মুক্তি চাইলেন জাতিসংঘ মহাসচিব
তিনি বলেন, আমি সব জিম্মির ‘নিঃশর্ত’ মুক্তির আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। হামাসকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটিকে জিম্মিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিতে হবে।
গুতেরেস আরও বলেন, এখন সময় জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার, সংঘাত বন্ধ করার ও এ অঞ্চলকে গ্রাস করার দুর্ভোগের ইতি টানার। এখন সময় শান্তি, আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচারের।
টিটিএন