ভারতের বিধানসভা নির্বাচন
জম্মু–কাশ্মীরে এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। তার পরেই রয়েছেন বিজেপির রবিন্দর রায়না। তবে পিছিয়ে পড়েছেন মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতিজা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জোট ৪৯টি আসনে এগিয়ে গিয়েছে। এখানে বিজেপি এগিয়ে আছে ২৫টি আসনে।
এদিকে, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই দেশজুড়ে উৎসবে মেতে উঠেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। দিল্লিতে দলের সদর দপ্তরের সামনে সকাল থেকেই ভিড় জমাতে থাকেন কর্মীরা। বিশেষ ডিজাইনের টি-শার্ট পরে ঢোল বাজিয়ে সেলিব্রেশন শুরু করেন তারা।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা।
জম্মু ও কাশ্মীরে তিনটি দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, তিনটি দফায় জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
পিপলস পালসের সমীক্ষা বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে একক বৃহত্তম দল হতে পারে ন্যাশনাল কনফারেন্স। জিততে পারে ৩৩ থেকে ৩৫টি আসন। কংগ্রেস ১৩ থেকে ১৫টি আসনে জিততে পারে। বিজেপি জিততে পারে ২৩ থেকে ৩৭টি আসন। পিডিপির ঝুলিতে যেতে পারে সাতটি থেকে ১১টি আসন। অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোট মিলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে।
তবে ইন্ডিয়া টুডে ও সি-ভোটারের এক্সিট পোল বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে ৪০ থেকে ৪৮টি আসন পেতে পারে ইন্ডিয়া (কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স)। শুধুমাত্র কাশ্মীর উপত্যকায় ইন্ডিয়া জোট পেতে পারে ২৯ থেকে ৩৩টি আসন। বিজেপি একটি আসনে জিততে পারে। পিডিপি জিততে পারে ৬ থেকে ১০টি আসনে। অন্যান্যদের ঝুলিতেও ৬ থেকে ১০টি আসন যেতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ