দুর্গাপূজার থিম

পশ্চিমবঙ্গের হরিদেবপুরে এক টুকরো বাংলাদেশ

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

একপাশে গঙ্গাপাড় অন্যদিকে পদ্মাপাড়। এভাবেই দুই পারের দুই বাংলাকে এক সুতায় গেঁথেছে পশ্চিমবঙ্গের হরিদেবপুর আর্দশ সমিতি। চলতি বছর তাদের দুর্গাপূজার থিম এপার-ওপার। দুই বাংলার আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াজালকে অতিক্রম করেছে এই থিম।

হরিদেবপুরের মাঠে উঠে এসেছে এক টুকরো বাংলাদেশ। সেখানে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, পাবনাসহ বাংলাদেশের একাধিক গ্রামের জ্বলন্ত ছবি ফুটে উঠেছে। আর দুই বাংলার মাঝখানেই সর্বোপরি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের জাতীয় সংগীতের স্রষ্টা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

jagonews24.com

পদ্মাপাড়ের গ্ৰামের মানুষের জীবন যাপন এবং গঙ্গাপারের মানুষের জীবন যাপন তুলে ধরা হয়েছে হরিদেবপুরে। খোলা আকাশের নিচে পদ্মাপাড়ের গ্ৰামের ধানখেত, ধানচাষ, কাশফুল, ধানের গোলা, কলাগাছ, নৌকাসহ বিভিন্ন জিনিস তুলে ধরা হয়েছে।

jagonews24.com

হরিদেবপুর আর্দশ সমিতি পূজা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের এবারের থিম এপার-ওপার। তারা বলছেন, দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাঁটাতারের যে বেড়া দেওয়া হয়েছে সে বেড়াটাকেই আমরা চিহ্নিত করেছি। সেই কাঁটাতারের বেড়ার এক পাশে বাংলাদেশ আর এক পাশে ভারতের জনজীবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। দুপারের মানুষই বাঙালি তবুও আমরা একটা প্রতিকী হিসেবে দেখাতে চেয়েছি।

অন্য এক সদস্য বলেন, ওপার বাংলার কাজী নজরুল ইসলাম এপার বাংলার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দুজনকেই আমরা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা সবাই এক এই একটা বার্তাই দিতে চেয়েছি।

jagonews24.com

পঞ্চমীর দিন থেকে প্যান্ডেল খুলে দেওয়া হবে সবার জন্য। প্রায় দুই বিঘা জায়গা জুড়ে এই প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। ১০০ জনের মতো দর্শনার্থী ভেতরে ঢুকে ঘুরে-ঘুরে সবকিছু দেখতে ও উপভোগ করতে পারবেন।

প্যান্ডেলের ভেতরে সিসিটিভির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাসহ সমিতি থেকে স্বেচ্ছাসেবক, সিকিউরিটি ও পুলিশ থাকবে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য।

ডিডি/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।