কলকাতার আদালতে জামিন পেলেন পি কে হালদারের ৩ সহযোগী
বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদার পি কে হালদারের তিন সহযোগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন কলকাতার আদালত। শনিবার (৫ অক্টোবর) পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, সহযোগী ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও শর্মী হালদার ওরফে আমানা সুলতানার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১র বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি উঠে। এসময় বিচারক দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে শর্ত সাপেক্ষে তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন>>
- মায়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে জামিন পেলেন পি কে হালদার
- ট্রায়াল ছাড়া পি কে হালদারকে বন্দি রাখায় আপত্তি আইনজীবীর
- পি কে হালদারের দুই সহযোগীর আত্মসমর্পণ
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনের জামিন আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪৭৯ ধারা (আগের অর্থ পাচার পাচার সংক্রান্ত আইন- ২০০২) অনুযায়ী, ধৃতরা মোট সাজার এক-তৃতীয়াংশ সময় এরই মধ্যে বিচারাধীন অবস্থায় সংশোধনাগারে অতিবাহিত করেছেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে জামিনের শর্ত হিসেবে পাঁচ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বেল বন্ড জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, ভারতের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ও এই মামলার কোনো সাক্ষী অথবা প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাতেও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
অরিজিৎ চক্রবর্তী আরও জানান, এই মামলার অপর তিন আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র যেহেতু বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাই তাদের জামিন আবেদন বাতিল করা করেছেন কলকাতার আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ নভেম্বর।
গ্রেফতারের পর থেকে প্রায় আড়াই বছর ধরে পাঁচ পুরুষ আসামি রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে। আর একমাত্র নারী আসামিকে রাখা হচ্ছে আলিপুর আদালতের নারী সেলে।
জানা গেছে, জামিন পেলেও তিন আসামি এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না। রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সোমবার তারা কারামুক্ত হতে পারেন।
২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ থেকে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এছাড়া, রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই বছরের ২১ মে তৎকালীন অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ (পিএমএলএ)-এ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারের পরপরই দুই দফায় মোট ১৩ দিন পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্তরা।
ডিডি/কেএএ/