পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা

প্রতিমায় তুলির শেষ টান দিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৩৯ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই ঢাকে পড়বে কাঠি, উমা আসবে বাপের বাড়ি। পশ্চিমবঙ্গজুড়েই এখন চলছে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার আমেজ। এই মহোৎসব ঘিরে কলকাতা নগরী থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় শেষদিকে। তবে এখনো অনেক জায়গায় চলছে শেষবেলার প্রস্তুতি।

কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা যখন দুর্গাপূজার জন্য অধীর আগ্ৰহে অপেক্ষা করছেন, তখন কলকাতার কুমারটুলি থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কুমোর বাড়িতে দেখা গেলো দেবীর মূর্তি তৈরিতে অদম্য ব্যস্ততা।

মৃৎশিল্পীরা এখন দিনরাত এক করে দুর্গা প্রতিমার শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত। রঙ-তুলির আঁচড়ে সাজছে প্রতিমা। তবে আকাশের মুখ ভার, চলছে অবিরাম বর্ষণ। এখন কারিগরদের একটাই চিন্তা, প্রতিমা শুকাবে কীভাবে?

কোনো কোনো মৃৎশিল্পী ২০ টি প্রতিমা তৈরির বায়না নিয়ে নিয়েছেন। আবার কোনো কারিগর ৩০ থেকে ৪০টি প্রতিমার বায়না নিয়ে রেখেছেন। তাই তাদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।

প্রতিমা তৈরির ফাঁকেই এক কারগির বলেন, পূজার আর বেশি দেরি নেই। তাই জোর কদমে কাজ চলছে। মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি দিনগুলোর মধ্যেই রঙের কাজও শেষ হয়ে যাবে। তারপরেই মা তার বাড়িতে যাবে।

মৃৎশিল্পী নির্মল পাল বলেন, সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টিও হচ্ছে তাই প্রতিমা শুকাতে গ্যাস ব্যবহার করতে হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিমাগুলো প্যান্ডেলে পৌঁছে দিতে হবে। তাই বৃষ্টির মধ্যেই আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ যে কোনো উপায়ে শেষ করতে হচ্ছে।

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবী দুর্গা দশ দিন ধরে অসুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। হিন্দু পঞ্জিকার সপ্তম মাসে এই যুদ্ধ শেষে দেবী দুর্গা মহিষাসুর নামে নির্দয় অসুর রাজকে বধ করেছিলেন। যার মাধ্যমে অত্যাচার থেকে মুক্তি মিলেছিল ও অশুভের ওপর শুভ শক্তি স্থাপিত হয়েছিল।

ডিডি/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।