লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত আড়াই হাজারের বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪১ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আহতদের জন্য রক্তদান করছেন বৈরুতের এক স্বেচ্ছাসেবক। ছবি: এএফপি

লেবাননজুড়ে পেজার বিস্ফোরণে এক শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২ হাজার ৭৫০ জন। আহতদের মধ্যে লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং আরও বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে এসব বিস্ফোরণ ঘটে। আহতের অনেকেই হিজবুল্লাহর যোদ্ধা। এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

আরও পড়ুন>>

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অন্তত ২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পেজার হলো এক ধরনের ছোট যন্ত্র, যা মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। মঙ্গলবার হঠাৎ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক পেজার বিস্ফোরিত হতে থাকে। সেগুলো হ্যাক করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যে পেজারগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেগুলো হিজবুল্লাহর বিভিন্ন ইউনিট ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ব্যবহার করতেন। এসব বিস্ফোরণে তাদের অন্তত দুই যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

এসব বিস্ফোরণের জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেছে গোষ্ঠীটি। তারা বলেছে, এর জন্য ইসরায়েলকে ‘উপযুক্ত শাস্তি’ পেতে হবে।

তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে, বৈরুতের রাস্তায় পড়ে কাতরাচ্ছেন অনেকে। কারও হাতে আঘাত লেগেছে। কেউ কেউ প্যান্টের পকেটের কাছে হাত দিয়ে কাতরাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে আহতদের ভিড় উপচে পড়ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে বিস্ফোরণ।

গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত যুদ্ধ চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিজবুল্লাহর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় এক বছরের সংঘাতে পেজার বিস্ফোরণ সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা লঙ্ঘন।

সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।