বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতবিরোধী পোস্ট করে বিপাকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট করে বিপাকে পড়েছেন। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রবাদী সচেতন সংগঠন।
জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি ছাত্র রিপন সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় ফেনী ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য ভারতকে দায়ী করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে তিনি লিখেন, আমার ফেনীকে শেষ করে দিচ্ছে ভারত।
এই পোস্টের পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রবাদী সচেতন সংগঠনের পক্ষ থেকে উপাচার্যের কাছে একটি চিঠি দিয়ে অভিযোগ করা হয়।
সেই অভিযোগ পত্রে লেখা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনের বাংলাদেশি ছাত্র রিপন সরকারের ভারতবিরোধী পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে। এতে আমাদের প্রিয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যেমন নাম খারাপ হচ্ছে, তেমনি জনমানুষের মধ্যে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তার এই পোস্ট দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটাতে পারে।
বিশ্বভারতী অভিধানের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত অবস্থায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড অথবা ভারতের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের সম্পর্ক বিব্রতকর হতে পারে এমন কোনো কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রবাদী সচেতন সংগঠনের পক্ষ থেকে সেই পত্রে আরও বলা হয়, এই শিক্ষার্থী এর আগেও বহুবার স্থানীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও রাষ্ট্রবাদী সচেতন সংগঠন পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, এটা খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা যে একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আমাদের এখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসে ভারতবিরোধী পোস্ট করছে।
ডিডি/এমএসএম