মণিপুরে ২০০০ অতিরিক্ত পুলিশ পাঠাচ্ছে মোদী সরকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মণিপুরে পাঠানো হচ্ছে ২০০০ সিআরপিএফ জওয়ান। ফাইল ছবি: এএনআই

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে সাম্প্রতিক সহিংসতা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরও দুটি ব্যাটালিয়ন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। সিআরপিএফ (সিআরপিএফ) এ দুটি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন প্রায় দুই হাজার সদস্য।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নটিকে তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল থেকে এবং ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নকে ঝাড়খণ্ডের লাতেহার থেকে পাঠানো হচ্ছে। প্রথম ইউনিটটি মণিপুরের কাংভাইয়ে (চুরাচাঁদপুর) এবং দ্বিতীয়টি ইম্ফলের চারপাশে দায়িত্বপালন করবে।

আরও পড়ুন>>

জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বের অন্যান্য অংশে অপারেশনাল দায়িত্বপালনের জন্য আসাম রাইফেলসের দুটি ব্যাটালিয়ন মণিপুর থেকে প্রত্যাহারের পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বলা হয়েছে, নতুন এ দুটি ইউনিটের সবগুলো কোম্পানিকে (প্রতিটিতে প্রায় ৬টি) সংঘাত কবলিত রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ঘাঁটি তৈরি করতে হবে।

গত বছরের মে মাস থেকে জাতিগত সংঘাতে মণিপুরে এ পর্যন্ত ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্য গত ১০ দিনে নিহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন।

জাতিগত এই সংঘাতের জেরে রাজ্যটিতে আগে থেকেই সিআরপিএফের ১৬টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন ছিল। গত সপ্তাহে তারা ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, চুরাচাঁদপুর, ননি, জিরিবাম, কাংপোকপি, বিষ্ণুপুরে অপারেশনাল ঘাঁটি স্থাপন করেছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন>>

সংঘাতের আগে মণিপুরে সাধারণত সিআরপিএফের ১০ থেকে ১১টি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন থাকতো। কিন্তু এবার তীব্র সহিংসতার জেরে সেটি ১৮টিতে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। অর্থাৎ, মণিপুরে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করতে চলেছে মোদী সরকার।

একজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা পিটিআই’কে বলেছেন, মণিপুরে প্রধান ভূমিকা পালন করবে সিআরপিএফ। গত বছরের মে মাসে মেইতেই এবং কুকি জনগণের মধ্যে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে বাহিনীর নতুন ইউনিটগুলোকে এ রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। এখন বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে, যাতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

সূত্র: দ্য প্রিন্ট
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।