মণিপুরে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে যে দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

অশান্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রক্ত ঝরছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে এবার রাজ্য সরকারের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়ার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ।

সব বিধায়ককে নিয়ে রাজ্যপাল লক্ষ্মণ আচার্যের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানেই এই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মণিপুরে বিজেপি শাসিত সরকার। সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন।

গত বছর মে মাস থেকে উত্তপ্ত মণিপুর। শান্তি ফেরাতে বারবার পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বাহিনী মণিপুরে শান্তি ফেরানো দায়িত্বে আছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী চান রাজ্যের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হোক। রোববার বীরেন শাসক জোটের সব দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। তারপর বিধায়কদের নিয়ে রাজভবনে যান। সেখানেই রাজ্যপালের কাছে কিছু দাবি জানান।

প্রথমে ড্রোন হামলা। তারপর রকেট। গত এক সপ্তাহে মণিপুরে এই জোড়া হামলা ঘুম কেড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর। এই পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে মণিপুর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।

মেইতেইরা দাবি করছে কুকিরাই ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। পুলিশের দাবি, স্থানীয়ভাবে তৈরি হলেও উন্নত প্রযুক্তির ওই ক্ষেপণাস্ত্র ৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আঘাত হানতে পারে। কুকিরা অবশ্য কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করে পাল্টা দাবি করে, মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের যোদ্ধাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মেইতেই এলাকায় আছড়ে পড়ে ওই ঘটনা ঘটে।

মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে সম্প্রতি কংপোকপি ও পশ্চিম ইম্ফলের দু’টি জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে। দু’টি হামলাই হয়েছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায়।

সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় মণিপুরের শাসকদলের সব বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন। এরপর রাতেই রাজ্যপাল লক্ষ্মণ আচার্যের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে যান বীরেন।

সূত্র: এনডিটিভি

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।