আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ

তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য পদ ছাড়ছেন জওহর সরকার

পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফাইল ছবি

আরজি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা ভারত। লাগাতার প্রতিবাদ-আন্দোলন চলছে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে। এই আন্দোলনের আঁচ গিয়ে পৌঁছেছে বিদেশের মাটিতেও।

এই পরিস্থিতিতে ঘরে-বাইরে প্রশ্নের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস। আরজি করের নির্যাতিতা নারী চিকিৎসকের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা-নেত্রীরা।

এবার ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যসভার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য জওহর সরকার। আগামী সপ্তাহে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) তার এই সিদ্ধান্তের কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে চিঠি দিয়ে জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা জহর সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে দেওয়া চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, আমি কিছু জিনিস মেনে নিতে পারি না, যেমন দুর্নীতিগ্ৰস্ত কর্মকর্তাদের।

তিনি চিঠিতে আরও জানান, জনগণের ক্ষোভ দেখে বোঝা যায়, তৃণমূল তৃনমূল কংগ্রেসের সরকারের প্রতি তারা আস্থা হারিয়েছেন। সরকার তথ্যমূলক কোনো বক্তব্য পেশ করলেও মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না।

আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুনের কারণে রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। তার মধ্যেই সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে জহর সরকার বলেন, আরজি কর হাসপাতালে ভয়াবহ ঘটনার পর থেকেই আমি একমাস ধরে ধৈর্য ধরে সব সহ্য করেছি। মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপের আশা করছিলাম। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সরাসরি কেন কথা বলছেন না।

বেশ কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে না পেরে হতাশা প্রকাশ করে জহর বলেন, আপনি আমাকে তিন বছর ধরে সংসদে বাংলার সমস্যাগুলো উপস্থাপন করার যে সুযোগ দিয়েছেন তার জন্য আমি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তবে আমি সংসদ সদস্য হিসেবে থাকতে চাই না।

এদিকে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে জহর সরকারের ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যজুড়ে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, একজন ছেড়েছেন আরও একজন ছাড়ুন। স্রোতের অনুকূলেতো কচুরিপানাও ভাসে, যদি উল্টো দিকে সাঁতার না পারেন, তাহলে মানুষ জন্ম বৃথা। যুদ্ধের সময় যারা পালায় বা গা বাঁচিয়ে চলে ইতিহাস তাদের লজ্জার নজরে দেখে।

ডিডি/এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।