মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ১৯
মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত একটি শহর ও অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তচ্যুত লোকদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ১৯ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত ও শুক্রবার ভোরে চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যে এই হামলা চালানো হয়।
জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী টা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) অভিযোগ করেছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোতে ‘ইচ্ছা করে’ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমাবর্ষণের মাধ্যমে জান্তা বাহিনী যুদ্ধাপরাধ করছে।
আরও পড়ুন>>
- মিয়ানমারে তীব্র সংঘাত/ বাংলাদেশে ঢুকতে পারে আরও রোহিঙ্গা
- রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পথে মিয়ানমার সেনাবাহিনী
- রাখাইনের বাসিন্দাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ত্যাগের নির্দেশ
টিএনএলএ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত ১টা ৩৫ মিনিটে উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যের নামখাম শহরে বেসামরিক বাড়ি এবং একটি পাবলিক হল লক্ষ্য করে ৫০০ পাউন্ড ওজনের দুটি বোমা ফেলে জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমান।
এতে ১১ জন বেসামরিক লোক নিহত হন, যাদের মধ্যে দুটি শিশু এবং একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী ছিলেন। এসময় আহত হন আরও ১১ জন।
গত বছরের শেষের দিকে জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে নামখাম শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ। গত সোমবার তাদেরসহ তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ ঘোষণা করেছেন মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা।
আরও পড়ুন>>
- কর্মীদের বেতন বাড়ালেই মালিকদের জেলে দিচ্ছে মিয়ানমার
- বিপাকে পড়ে এখন রোহিঙ্গাদের কাজে লাগাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী
- বাংলাদেশে পালানোর সময় মিয়ানমারে ড্রোন হামলায় বহু রোহিঙ্গা নিহত
এর আগে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শান রাজ্যের দক্ষিণে মবি শহরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে বোমা ফেলে জান্তার যুদ্ধবিমান। এতে ছয় শিশুসহ আটজন নিহত হন। আহত হন অনেকে। হামলার পর থেকে আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রোগ্রেসিভ কারেনি পিপল ফোর্স (পিকেপিএফ) জানিয়েছে, হামলার নিশানা হওয়া এলাকাটি বর্তমানে কারেনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন।
‘ব্যাংকক আইডিপি ক্যাম্প’ নামে পরিচিত ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬০টি তাবুতে ছয়শ’র বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ বসবাস করেন। আশ্রয়কেন্দ্রটিতে এ নিয়ে অন্তত সাতবার বিমান হামলা চালানো হলো বলে দাবি করেছে পিকেপিএফ।
সূত্র: ইরাবতি
কেএএ/